২০১৮ সালে রোনালদো ক্লাব ছাড়ার আগ পর্যন্ত অনেকটা তার ছায়াতে ঢাকা ছিলেন বেনজেমা। নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও পাদপ্রদীপের আলোর বাইরেই ছিলেন ফরাসী এই স্ট্রাইকার।
রোনালদো চলে যাওয়ার পর থেকে নিজেকে আরও মেলে ধরতে শুরু করেছেন বেনজেমা। এই পথ চলায় নিজেকে প্রতি মৌসুমে যেন নিয়ে যাচ্ছেন নতুন উচ্চতায়।
চলতি মৌসুমেও আছেন দারুণ ছন্দে। এখন পর্যন্ত ফরাসি এই স্ট্রাইকার করেছেন সর্বোচ্চ ২৪ গোল। তার ধারে কাছে কেউ নেই; দ্বিতীয় স্থানে থাকা তারই সতীর্থ ভিনিসিউস জুনিয়রের গোল কেবল ১৪টি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কাটছে স্বপ্নের মতো, সবশেষ দুই ম্যাচে করেছেন হ্যাটট্রিক। এরই মধ্যে ১১ গোল হয়ে গেছে তার।
২০২১-২২ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭ ম্যাচে ৩৭ গোল করেছেন বেনজেমা। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল রবের্ত লেভানদোভস্কি (৪৬)।
বেনজেমা দারুণ ফর্মে থাকলেও তার বয়স ৩৪। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রিয়াল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সময়ের দুই তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে ও আর্লিং হলান্ডের মধ্যে একজন বা সম্ভব হলে দুই জনকেই দলে টানার।
এই দুজনের কেউ যদি শেষ পর্যন্ত রিয়াল যোগ দেন, তাহলে বেনজেমার সঙ্গে দলে জায়গা নিয়ে হয়ত তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
এমবাপে ও হলান্ড দলে যোগ দিলে বেনজেমার ভূমিকা কমে যাওয়ার প্রশ্ন আসতেই সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে তা উড়িয়ে দেন আনচেলত্তি।
“কি একটা প্রশ্ন…আমি দুঃখিত, এর উত্তর দিতে পারছি না। তবে আমি বলতে পারি যে বেনজেমা একজন আধুনিক সেন্টার-ফরোয়ার্ড, আগে স্ট্রাইকাররা প্রতিপক্ষের সীমানায় প্রবেশ করত এবং সেখানে আসা সুযোগগুলো কাজে লাগাত।”
“করিম হল এমন একজন খেলোয়াড়, আধুনিক ফুটবলে একজন স্ট্রাইকারের কাছে যে চাওয়া, শুটিং, খেলা, রক্ষণাত্মক কাজ, বল না দেওয়া… তার সব পূরণ করে। সে এখনকার সময়ে একজন সেন্টার ফরোয়ার্ডের কেমন হওয়া উচিত তার এক নিখুঁত উদাহরণ।”
ইউরোপের সফলতম দলটিকে বেনজেমা এখন প্রায় একাই টেনে নিচ্ছেন সামনের পথে। তার ওপর নির্ভর করায় কোনো সমস্যা দেখছেন না আনচেলত্তি।
“আগে আমাদের ক্রিস্তিয়ানো ছিল, গ্যারেথ বেল ছিল… আমরা বেনজেমার ওপর নির্ভরশীল এটাই সত্যি, লুকানোর কিছু নেই এখানে। বেনজেমার ওপর নির্ভর করতে পেরে আমি খুব খুশি।”