করেনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নিশ্চয়ই সবাই হাত পরিষ্কার
রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। হাত পরিষ্কার রাখতে সবচাইতে কার্যকর উপায় সাবান পানি
দিয়ে হাত ধোয়া। আর সেটা হাতের কাছে না থাকলেই কেবল ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ কিংবা ‘হ্যান্ড
রাব’ ব্যবহার করতে হবে।
রান্নাঘরে চাই বাড়তি সাবধানতা। কারণ একবেলার খাবারের
মাধ্যমেই নিমেষেই পুরো পরিবারে শরীরে পৌঁছে যেতে পারে মারাত্মক এই ভাইরাস।
করোনাভাইরাস ধ্বংসে করতে হলে অবশ্যই ৬০ শতাংশ বা তারও
বেশি অ্যালকোহল থাকতে হবে ব্যবহৃত ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ কিংবা ‘হ্যান্ড রাব’য়ে। অ্যালকোহল
তীব্র দাহ্য পদার্থ, তাই রান্নাঘরে জলন্ত চুলার আশপাশে তা ব্যবহার করা স্বভাবতেই বিপদজনক।
স্প্রে-জাতীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিশেষ বিপজ্জনক।
সম্প্রতি ভারতের রিওয়ারিতে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়,
৪৪ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ রান্নাঘরে চুলার কাছাকাছি থাকাকালে দুর্ঘটনাবশত ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’য়ের
বোতল উল্টে গিয়ে কাপড়ে পড়ে। এবং তাতে আগুন ধরে। এতে তার শরীরে ৩৫ শতাংশ অংশ পুড়ে যায়।
রান্নাঘরে অ্যালকোহলযুক্ত ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ ব্যবহার
করতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনা যে কারও ঘটে যেতে পারে। আর দেশের এই ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণীক
চিকিৎসা পাওয়াও হবে দুষ্কর।
ভারতের স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের ‘প্লাস্টিক অ্যান্ড
কসমেটিক সার্জারি’ বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মহেশ মঙ্গল বলেন, “অধিকাংশ ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’য়ে
থাকে ৬২ শতাংশ ইথাইল অ্যালকোহল, যা আগুনের আশপাশে যথেষ্ট বিপদজনক একটি দ্রবণ। তাই আগুনের
আশপাশে তা ব্যবহার কিংবা সংরক্ষণ করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”
রান্নাঘর ও আগুন আছে এমন সকল স্থান থেকে নিরাপদ দূরত্বে
রাখতে হবে সকল প্রকার ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ ও ‘হ্যান্ড রাব’। নিরাপদ বোতলে তা সংগ্রহ
করাও জরুরি।
ব্যবহারের সময় আগুনের কাছ থেকে অবশ্যই সরে আসতে হবে।
আর বাসায় রান্না করার সময় নিশ্চয়ই হাতের নাগালে সাবান
ও পানি থাকবে।
তাই এখানে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ ব্যবহার না করাই হবে
বু্দ্ধিমানের কাজ। কারণ এদের অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।
ছবি:
রয়টার্স।
আরও
পড়ুন