গত ৪ এপ্রিল ডাচ টিভি অনুষ্ঠান হামবের্টোয়
৭০ বছর বয়সী এই কোচ তার প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানান।
অনেক আগে তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়লেও জনসম্মুখে
জানাননি ফন খাল। এমনকি দলের খেলোয়াড়দেরও বিষয়টি জানাতে চাননি তিনি, তাতে যদি তাদের
পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব পড়ে। তাই দিনে ফুটবলারদের অনুশীলন করিয়ে রাতে যেতেন হাসপাতালে
চিকিৎসার জন্য।
ফন খাল তৃতীয় মেয়াদে স্বদেশের জাতীয় দলের প্রধান
কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপে তার কোচিংয়ে দলটি তৃতীয় হয়েছিল। পরের আসরে জায়গা
পায়নি মূল পর্বে। এই অভিজ্ঞ কোচের হাত ধরেই বিশ্ব মঞ্চে ফিরতে যাচ্ছে দলটি। ইউরোপীয়
অঞ্চলের মূল বাছাইয়ে ‘জি’ গ্রুপের সেরা হয়ে জায়গা পেয়েছে কাতার বিশ্বকাপে।
এক দিকে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে দলকে নিয়ে
যাওয়ার লড়াই, আরেক দিকে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। খুব কঠিন সময় কেটেছে ফন খালের।
ডাচ নিউজ এজেন্সি এএনপির সঙ্গে এক আলাপচারিতায়
ফন খাল তার চিকিৎসার লম্বা ও কঠিন প্রক্রিয়াটি তুলে ধরেন।
“আমি খুব কঠিন সব সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছি।
আমাকে ২৫টি রেডিওথেরাপি নিতে হয়েছে। এরপর তা কাজ করছে কি-না, সেটা দেখার জন্য আমাকে
পাঁচ বা ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। চিকিৎসা সফল হয়েছে।”
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের
ডাগআউট সামলান ফন খাল। জোসে মরিনিয়োর উত্তরসূরি হয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসে দলটিকে জেতান
এফএ কাপ শিরোপা।
কোচিং ক্যারিয়ারে দারুণ সফল ফন খালের হাত ধরে
বার্সেলোনা দুটি লা লিগা, বায়ার্ন মিউনিখ একটি বুন্ডেসলিগা, আয়াক্স তিনটি লিগ শিরোপা
জেতে। এজেড আলকামারের হয়েও ডাচ লিগ শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা আছে তার।
তার কোচিংয়েই ১৯৯৪-৯৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল
আয়াক্স। ক্লাবগুলোর হয়ে আরও অনেক শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন ফন খাল।
আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ
পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের দায়িত্বে ফন খালই থাকবেন। ‘এ’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ সেনেগাল,
একুয়েডর ও স্বাগতিক কাতার।
বিশ্বকাপের পর ফন খালের স্থলাভিষিক্ত হবেন
সাবেক বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমান।