রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
গত বুধবার মিরপুর ডিওএইচএসের একটি শুটিং হাউজে চয়নিকার ‘প্রথম প্রথম প্রেম’ নামে নাটকটির শুটিংয়ের সেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সবুজ। প্রথমে কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান চয়নিকা।
সোমবার সবুজের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়েছিল; এর মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আর ফিরলেন না তিনি।
এক ফেইসবুক পোস্টে শোক প্রকাশ করে চয়নিকা লিখেছেন, “পরপারে ভালো থেকো সবুজ, এই কয়দিন অনেক কষ্ট পেয়েছ। তুমি থাকবে আমার অন্তরে, চোখের ওপর।”
চয়নিকা জানান, শুটিং হাউজের দ্বিতীয় তলায় আলো কমানো-বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত বোর্ড ধরেছিলেন সবুজ; এর মধ্যে বাতাসে সেটি বাইরের বিদ্যুতের তারে আটকে যায়। বোর্ডটি ধরতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
বিকালে পল্লবী থানার একটি প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে; সঙ্গে চয়নিকা চৌধুরীও ছিলেন।
চয়নিকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা স্পটে এসে দেখে গেছে সব সত্যি। এখন লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।”
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সবুজের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ খোঁজ-খবর নেয়, হাসপাতালেও যায়। তবে কেউ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ না করায় মামলা হয়নি।
গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে সবুজকে; তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ফেইসবুকে শোক জানিয়েছেন।