আকিব জাভেদ
নামের ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই ছাত্রের জিনিসপত্র কক্ষের
বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এর আগে সোমবার রাত ১২টার
দিকে তাকে হলের বরাদ্দ করা সিট ছেড়ে দিতে বলা হয়।
আকিব পরিসংখ্যান
বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং শের-এ বাংলা হলের ১২৯ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আকিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত ১২টার দিকে হল ছাত্রলীগের সভাপতি
মোস্তাফিজুর রহমান আমার রুমে এসে জিজ্ঞাসা বরেন, ‘তোমাকে এই বেডে কে তুলেছে? তোমার
সাহস তো কম নয়, তুমি এই বেডে উঠেছ? এই হলে তোমাকে যেন আর না দেখি। কাল সকাল ৯টার মধ্যে
এখান থেকে বের হয়ে যাবি।”
আকিব আরও বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কমল কুমার পাল নামের এক অনাবাসিক শিক্ষার্থী
এসে বলেন, ‘তুমি এখনও এখান থেকে যাওনি!’ কিছুক্ষণ পর তিনি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ
সাত থেকে আটজনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। পরে তারা বইপত্রসহ সব জিনিস বাইরে ফেলে দেন।
“আমার যাওয়ার জায়গা নেই। কোথায় যাব? হলে এলে ছাত্রলীগ মারতে পারে।”
এ বিষয়ে অনাবাসিক শিক্ষার্থী কমল জানান, তার ‘আবাসিকতা’ নেই। তিনি বড় ভাই মোস্তাফিজুরের
মাধ্যমে হলে উঠেছেন।
ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এতদিন যে হলে ছিল, তার চেয়ে কমল ‘সিনিয়র’।
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই (কমল) শিক্ষার্থীই হলে সিট পান।”
এভাবে হলে উঠিয়ে দেওয়া কিংবা নামিয়ে দেওয়ার এখতিয়ার ছাত্রলীগের আছে কি না জানতে
চাইলে তিনি বলেন, “অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আসেন, হল প্রাধ্যক্ষের কাছে যান।
আমরাও হলে তুলে দিই। তবে আকিবের আবাসিকতা আছে কি না, এটা আমি জানি না।”
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. হবিবুর রহমান জানান, সকালেই তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর
কাছে সবকিছু শুনেছেন। ওই শিক্ষার্থী হলের এবং ওই কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। আকিব ওই
কক্ষে আজ থেকেই থাকবেন। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
“ওই কক্ষে জ্যেষ্ঠ যে শিক্ষার্থী ছিলেন, তিনি নিয়ম অনুযায়ী হল ছাড়ার সময় হল প্রশাসনকে
জানাননি। আকিবও ওই বেডে ওঠার সময় জানাননি। তবে আকিব ওই কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি
ওখানেই থাকবেন,” বলেন প্রাধ্যক্ষ।
কিন্তু শেষ খবর পর্যন্ত আকিবকে অন্য একটি সিটে উঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আকিব বলেন, জানুয়ারির প্রথম দিকে আবাসিকতার জন্য আবেদন নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে আকিবের
মৌখিক পরীক্ষা নেয় হল প্রশাসন। মার্চের প্রথমে প্রাধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে ১২৯ নম্বর
কক্ষে ওঠেন আকিব। ওই বেডে ২০১৫-১৬ সেশনের এক শিক্ষার্থী আরও এক মাস ছিলেন। পরে তিনি
৮ এপ্রিল চলে গেলে আকিব ওই বেডে ওঠেন।