তরগাঁও খন্দকারপাড়ায় নিজ বাড়িতে সোমবার ২৫ বছর বয়সী এই নারীর মৃত্যু হয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সরকার জানান।
তার করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না বলে চিকিৎসকরা বললেও এলাকাবাসীর দাবির কারণে ওই নারীরসহ তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
মৃত নারীর স্বজন ও প্রতিবেশীদের উদ্ধৃতি দিয়ে আব্দুস সালাম সরকার জানান, সপ্তাহখানেক আগে জ্বর হলে বাড়ির লোকজন জ্বিন-ভূতে ধরেছে বলে তাকে স্থানীয় ‘কবিরাজের’ কাছে চিকিৎসা করান।
“গত তিন দিন যাবত জ্বরের পাশাপাশি তার গলা ও শরীরে ব্যথা শুরু হয়। আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।”
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সরকার আরও জানান, “নিহতের তিন বছর আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল, কিন্তু কোনো জ্বর বা অন্যান্য লক্ষণ ছিল না। তিনি হাসপাতাল থেকে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন; কিন্তু শেষদিকে তিনি হাসপাতালে যোগাযোগ করেননি। করোনা সংক্রান্ত কোনো লক্ষণ ওই নারীর ছিল না। বেঁচে থাকাকালীন তার সাক্ষাৎকারও নিয়েছি আমরা।”
তিনি বলেন, তারপরও প্রতিবেশীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মৃত নারীসহ তার স্বামী, দুই সন্তান ও এক ভাইয়ের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই বাড়িসহ পাড়ার কয়েকটি বাড়ি লকডাউনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কাপসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমত আরা বলেন, নিহতের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনো লক্ষণ ছিল না বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। শ্বাসকষ্টের সঙ্গে হৃদরোগের সমস্যাও ছিল। নিহতের দাফনের জন্য পরিবারকে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পালনে পুলিশ রয়েছে ঘটনাস্থলে।
“নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। যদি করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায় তাহলে ওই বাড়িসহ আশপাশের বাড়িগুলো লকডাউন করা হবে।”