বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দনবাস অঞ্চলে তাদের প্রধান লক্ষ্যস্থলে এ সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছে।
মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, ইউক্রেইনের ৩৬তম মেরিন ব্রিগেডের ১০২৬ জন সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মারিউপোলের আজোভস্তাইল শিল্প এলাকায় এ মেরিন সেনারা অবস্থান নিয়ে ছিল, যদি রাশিয়ার হাতে ওই এলাকাটির পতন হয় তবে মারিউপোলের ওপর রুশ বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাশিয়ার অধিকৃত মারিউপোলের পশ্চিম ও পূর্বাংশের মধ্যেবর্তী এ অংশটি সৈন্য ও রসদ সরবরাহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডোর। রাশিয়ার দাবি সত্য হলে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীগুলো আক্রমণ শুরু করার পর এই প্রথম তাদের হাতে ইউক্রেইনের একটি বড় শহরের পতন হচ্ছে।
ইউক্রেইনের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছে, রুশ সেনারা আজোভস্তাইল ও বন্দরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।
ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কোনো আত্মসমর্পণের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
মারিউপোলে রুশপন্থি বাহিনীগুলোর সঙ্গে থাকা রয়টার্সের সাংবাদিকরা মঙ্গলবার আজোভস্তাইল থেকে আগুনের শিখা উঠতে দেখেছিলেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমর্থক চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ আজোভস্তাইলে অবস্থান নিয়ে থাকা বাকি ইউক্রেইনীয়দেরও আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক টেলিগ্রাম পোস্টে কাদিরভ বলেছেন, “এই মুহূর্তে আজোস্তাইলে প্রায় ২০০ জন আহত কোনো চিকিৎসা সহায়তা নিতে পারছে না। তাদের জন্য ও বাকি সবার জন্য বলছি, এই অর্থহীন প্রতিরোধ শেষ করাই ভালো হবে, বাড়িতে পরিবারের কাছে চলে যান।”
রাশিয়ার টেলিভিশনে প্রদর্শিত ছবিতে দেখা গেছে, মঙ্গলবার মারিউপোলের ইলিচ আয়রন এন্ড স্টিল ওয়ার্কসে কথিত ইউক্রেইনের মেরিন সেনারা আত্মসমর্পণ করছে, তাদের অনেকেই আহত।
কথিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেইনীয় সেনারা হাত উপরে তুলে মারিউপোলের একটি রাস্তা ধরে মার্চ করে যাচ্ছে, এমন ফুটেজ দেখিয়েছে রাশিয়ার টেলিভিশন। ওই সেনাদের মধ্যে একজন একটি ইউক্রেইনীয় পাসপোর্ট ধরে ছিলেন।