সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে জয় পায় চেলসি। তবে প্রথম লেগের ৩-১ ব্যবধানে জয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে ওঠে কার্লো আনচেলত্তির দল।
প্রথম লেগে রিয়ালের দারুণ জয়ের পর সহজেই শেষ চারে জায়গা করে নেবে তারা, এমনটাই ভেবেছিলেন অনেকে। চেলসি কোচ টমাস টুখেলের কণ্ঠেও রিয়ালকে বিদায় করাটা ছিল ‘প্রায় অসম্ভব’ কাজ।
তবে সেই ভীষণ কঠিন কাজটাই প্রায় সম্ভব করে ফেলছিল তার দল। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের ঢেউ তুলে রিয়ালকে কোণঠাসা করে ফেলে প্রিমিয়ার লিগের দলটি। একে একে তিন গোল ফিরিয়ে দিয়ে দুই লেগের হিসেবে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা।
নিজেদের ছায়া হয়ে থাকা রিয়ালের সামনে তখন ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে বিদায়ের শঙ্কা। এমন সময় ৮০তম মিনিটে মুহূর্তের জাদুতে সবকিছু পাল্টে দেওয়ার উপলক্ষ তৈরি করেন মদ্রিচ। তার অসাধারণ ক্রসে দারুণ ভলিতে লড়াইয়ে সমতা টানেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো।
এরপর অতিরিক্ত সময়ে করিম বেনজেমার গোলে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে রিয়াল।
১২০ মিনিটের রোমাঞ্চে ভরপুর ম্যাচে জয় না পেলেও নিজেদের লড়াকু মানসিকতায় মুগ্ধ মদ্রিচ। তাই ম্যাচের পর বলেন, এই হারও তার কাছে জয়ের সমান।
“প্রথম লেগের পর আমরা জানতাম যে আমাদের কঠিন একটি ম্যাচ খেলতে হবে, কারণ আমার মতে, তাদের (চেলসি) বিপক্ষে খেলা সবচেয়ে কঠিন। আমি আমার বন্ধু মাতেওর (কোভাচিচ) কারণে তাদের অনেক খেলা দেখি। তারা খুব কঠিন প্রতিপক্ষ, শারীরিক শক্তি নির্ভর দল, খুব আঁটসাঁট। আমরা জানতাম যে লড়াইটি কঠিন হতে চলেছে।”
“শেষ পর্যন্ত আমরা নিজেদের দৃঢ় মানসিকতা, প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও একতা দেখিয়েছি এবং ফলাফল ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি, যা চমৎকার। এটা এমন এক পরাজয়, যা খুব মধুর।”
রদ্রিগোর ওই গোলের আগ পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল চেলসিময়। মদ্রিচও মানছেন, তাদের ভীষণ চাপে রেখেছিল টুখেলের দল।
“এই ম্যাচ বর্ণনা করা… অবিশ্বাস্য। গোল করার আগ পর্যন্ত আমরা মৃতপ্রায় ছিলাম।”
“চেলসি তিনটি ভালো গোল করেছে, সম্ভবত তাদের প্রথম গোলে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল, তবে আমি এটা বলব না যে আমরা খারাপ খেলেছি।”