সম্প্রতি টুইটারের ৯.২ শতাংশ শেয়ার কিনে
প্ল্যাটফর্মটির বৃহত্তম অংশীদারে পরিণত হয়েছেন ইলন মাস্ক। মামলার আবেদনকারী সাবেক শেয়ার
মালিকদের অভিযোগ, টুইটারের শেয়ার কেনার বিষয়টি গোপন রেখে যুক্তরাষ্ট্রের আইন ভেঙেছেন
টেসলা প্রধান।
ক্লাস অ্যাকশন মামলার আবেদনে সাবেক শেয়ার
মালিকরা বলেছেন, ২৪ মার্চের ভেতর টুইটারে বিনিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়ে,
টেসলা প্রধান ‘বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে ও তথ্য গোপন করে’ ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছেন।
মাস্ক টুইটারের বৃহত্তম শেয়ার মালিক
হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই চলছে নানা নাটকীয়তা। প্রথমে টুইটারের পরিচালনা পর্ষদে
বসার কথা ছিল মাস্কের, এতে সর্বোচ্চ ১৪.৯ শতাংশ টুইটার শেয়ারের মালিক হওয়ার সীমবদ্ধতায়
পড়তেন তিনি। টুইটার পরিচালকের পদে বসলে প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট মডারেশন নীতমালার ওপর
তার সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন খোদ টুইটার কর্মীরা।
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে হঠাৎ করেই
পরিচালকের পদ প্রত্যাখান করেছেন মাস্ক; মাস্ক পরিচালনা পর্ষদে বসছেন না, এ খবর নিশ্চিত
করেছেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল। তবে এতে দুশ্চিন্তা কমেনি সংশ্লিষ্টদের;
বাজার বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যেহেতু শেয়ার মালিকানার ওপর বাধ্যবাধকতা থাকছে না,
আরও বেশি শেয়ার কিনে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ দখল করার চেষ্টা করতে পারেন মাস্ক।
মাস্ক টুইটার শেয়ার কেনার খবর প্রকাশ
করার পর ৪ এপ্রিল মাইক্রোব্লগিং সেবাটির শেয়ারের দাম বেড়ে যায় ২৭ শতাংশ। বার্তাসংস্থা
রয়টার্স বলছে, মাস্কের এই পদক্ষেপকে প্ল্যাটফর্মটির ওপর মাস্কের আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ
হিসেবেই দেখছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
কিন্তু মার্ক রাসেলার নেতৃত্বে সাবেক
শেয়ার মালিকদের বক্তব্য, মাস্ক টুইটার শেয়ার মালিকানার খবর প্রকাশে দেরি করায় কম দামে
বেশি সংখ্যক শেয়ার কিনতে পেরেছেন। আর ‘কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট মূল্যহ্রাসে’ শেয়ার বেচে প্রতারণার
শিকার হয়েছেন ওই সাবেক শেয়ার মালিকরা।
রাসেলা বলছেন, ২৫ মার্চ থেকে ২৯ মার্চের
মধ্যে গড়ে ৩৯.২৩ ডলার দামে ৩৫টি টুইটার শেয়ার বেচে এক হাজার ৩৭৩ ডলার কামাই করেছেন
তিনি।
মামলার আবেদনে ক্ষতিপূরণের দাবি থাকলেও
তার নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে
কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি মাস্কের আইনজীবি।
বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, টুইটারে
বড় কিছু পরিবর্তন আনতে চাপ সৃষ্টি করতে পারেন মাস্ক। টেসলা-স্পেসএক্সের কাণ্ডারী এবং
ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি টুইটারে পূর্ণ দখল নেওয়ার চেষ্টা
করতে পারেন, এমনটাও আশঙ্কা করছেন অনেকে।