নতুন যে ‘আইকন’
নিয়ে আলোচনা, সেটি চিহ্নিত করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ৯টু৫ গুগল। সাইটটির প্রতিবেদন
বলছে, গুগলের অন্যান্য অ্যাপের মতোই সবুজ, হলুদ, লাল এবং নীল রং ব্যবহৃত হয়েছে গুগল
পে’র নতুন আইকনে।
গুগলের বর্তমান
‘জিপে (GPay)’ অ্যাপের লোগোর সঙ্গে নতুন আইকনটির নকশায় বেশ কিছু পার্থক্যও আছে বলে
জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরোডার।
তবে, গুগলের দুই মোবাইল লেনদেন অ্যাপ
‘জিপে’ এবং ‘গুগলে পে’-এর বর্তমান আইকনের সঙ্গে নকশার বিবেচনায় পার্থক্যের চেয়েও বেশি
গুরুত্ব পাচ্ছে এর ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি। সার্চ জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি ‘গুগল পে’-কে একটি
পুরোদস্তুর ভার্চুয়াল ওয়ালেটে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে যে এগিয়ে যাচ্ছে, তার পরিষ্কার
ইঙ্গিত মিলছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার।
নয়া ডিজিটাল ওয়ালেট
গেল বছরের অক্টোবর মাসে নিজস্ব ব্যাংকিং
ও ব্যক্তিগত আর্থিক সেবা প্রকল্প ‘প্লেক্স’ বাতিল করেছে গুগল। তারপরই আর্থিক লেনদেন
সেবা নির্মাণের কৌশল নতুন করে সাজাতে পেপালের এক সাবেক কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যিক প্রকাশনা ব্লুমবার্গের
মত, গুগল এখন ‘পে’ অ্যাপটিকে ‘ভোক্তাকেন্দ্রীক আর্থিক লেনদেন খাতে সার্বিক সংযোগস্থাপনকারী
কোষ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। প্রতিষ্ঠানটির ক্রিপ্টো মুদ্রার খাতের অংশীদাররাও
এ পরিকল্পনার অংশ বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
‘গুগল পে’ অ্যাপ মোবাইল কেন্দ্রীক লেনদেনের
অ্যাপের গণ্ডি ছাড়িয়ে পূর্ণ ডিজিটাল ওয়ালেটে পরিণত হলে এতে ‘অ্যাপল পে’র মতো ডিজিটাল
টিকেট, এয়ারলাইন পাস এবং ভ্যাক্সিন পাসপোর্ট জমা রাখার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছে টেকরেডার।
তবে, বর্তমান
আইকনের জায়গায় নতুন ‘ওয়ালেট’ আইকন এলেও আর্থিক লেনদেন প্রসঙ্গে গুগলের সামনে এখনও অনেক
চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে টেকরেডার। প্রথমতো, ‘জিপে’ কেবল যুক্তরাষ্ট্র, ভারত
এবং সিঙ্গপুরের বাজারে প্রচলিত আছে, আর ‘গুগল পে’র চলন পুরো বিশ্ব জুড়েই।
পার্থক্য আছে
দুই অ্যাপের সেবাতেও। ‘পিয়ার-টু-পিয়ার’ লেনদেন সেবা আছে ‘জিপে’-তে। এ ছাড়াও ট্রানজিট
পাস, পার্কিং খরচ দেওয়া এবং গাড়ির তেলও কেনা যায় ওই অ্যাপটির মাধ্যমে। অন্যদিকে ‘গুগল
পে’ কেবল পেমেন্ট কার্ড এবং পাস জমা রাখে।
নতুন আইকন থেকে
গুগল পে’র ভবিষ্যত নিয়ে ইঙ্গিত মিললেও নিশ্চিত তথ্যের জন্য মূল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে
আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করিয়ে দিয়েছে টেকরেডার।