জালশুকা উত্তরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার দুপুরে
এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবিব জানান, স্থানীয়
লোকজন প্রধান শিক্ষক ইশতিয়াক আহমেদ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল
আবেদীনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ
তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌফিক আজিজ বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে
যান। এ সময় বাদী-বিবাদীসহ স্থানীয়রা সেখানে ভিড় করেন। তদন্ত কাজের
সময় স্থানীয়রা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন তদন্তে সহায়তা করছিলেন।
আহসান হাবিব জানান, দুপুর আনুমানিক সোয়া ২টার
দিকে উত্তেজিত হয়ে ইশতিয়াক আহমেদ ও জয়নাল আবেদীনের উপর মারমুখী হয়ে ওঠে এলাকাবাসী।
এ সময় প্রধান শিক্ষক অফিস কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে জনতা জয়নাল আবেদীনকে পেয়ে
মারধর ও বিদ্যালয়ের চেয়ার ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, “আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর
করা হয়েছে। আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। এটা স্থানীয় রাজনীতির অংশ।”
প্রধান শিক্ষক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তদন্ত শুরুর
পর থেকেই কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলে হইচই করছিল। এক পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তার সামনে
উত্তেজিত হয়ে তারা সভাপতি ও তার উপর হামলা করে এবং বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর
করে।
শিক্ষা কর্মকর্তা তৌফিক আজিজ বলেন, “তদন্তে দুর্নীতির সত্যতা
পাওয়া গেছে। তাছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের
নানা অনিয়মের তথ্য পেয়েছি।”
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন
জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারপিট ও ভাংচুর নিয়ে অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।