ক্যাটাগরি

সিরাজগঞ্জে ম্যাটস শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

ভুক্তভোগী
ছয় শিক্ষার্থী ও তিন অভিভাবক সিরাজগঞ্জ ২ আসনের সাংসদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ঢাকা)
পরিচালকসহ সরকারি কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন
করেছে কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগে
বলা হয়, সিরাজগঞ্জ মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুলের [ম্যাটস] মেডিকেল অফিসার
ডা. কাজী রফিকুল আলম দীর্ঘদিন হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের মোখিক পরীক্ষায় খারাপ করানোসহ
সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ভয় দেখিয়ে ক্লাসে আপত্তিকরভাবে শরীর স্পর্শ করতেন;
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল বার্তা পাঠান। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে ব্যবহারিক
ও মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করার হুমকি দিতেন।

শিক্ষকের
এই আচরণে কয়েকজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।

এ নিয়ে
একাধিকবার প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবগত করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ডাক্তার রফিকুল
আলমের এই আচরণে অনেকেই পড়াশুনা বাদ দিয়ে হোস্টেল ছেড়ে চলে গেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ
রয়েছে।

এ বিষয়ে
অভিযোগকারী এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, “লিখিত অভিযোগের পর আমাদের মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট
ট্রেনিং স্কুলে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের কোনো কথা শোনা হয়নি। কোনো বিচারও পাইনি।”

স্কুলের
অধ্যক্ষ ডা. আকিকুন নাহার বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী
দশ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ
সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শিক্ষক ও হোস্টেল সুপারভাইজার
রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে এসব
অভিযোগ অস্বীকার করেন রফিকুল আলম বলেন, “আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে
মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।”