ক্যাটাগরি

নেটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত কয়েক সপ্তাহেই: ফিনল্যান্ড

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তে দেরি করার কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

বিবিসি জানায়, নেটো জোটের সদস্যপদ ফিনল্যান্ড এবং রাশিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে- ফিনিশ পার্লামেন্টে এ মর্মে একটি প্রতিবেদনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী একথা বললেন।

রাশিয়া একদিন আগেই নেটোতে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে হুঁশিয়ার করেছে।

দেশ দুটি জোট নিরপেক্ষ হিসাবে পরিচিত হলেও ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে দুই দেশেই নেটোতে যোগদানের পক্ষে জনসমর্থন বাড়ছে।

সুইডিশ নেতা ম্যাগডালেনা এন্ডারসন সাংবাদিকদের বলেছেন, তার দেশেও একইভাবে গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি বিচার-বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে এবং তিনিও এই সিদ্ধান্তে দেরি করার কোনও যুক্তি দেখছেন না।

সুইডিশ পত্রিকা ‘সেন্সকা ডগব্লডেট’ বুধবারের প্রতিবেদনে বলেছে, এন্ডারসন জুন মাসের শেষদিকে নেটোর শীর্ষ সম্মেলনের সময়ই সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে চান।

অন্যদিকে, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা কখন আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেব সে ব্যাপারে কোনওরকম সময়সীমা আমি জানাব না। তবে আমি মনে করি এটি শিগগিরই ঘটবে।”

রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের ১,৩৪০ কিলোমিটার (৮৩০ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত আছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এর আগে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তারা নেটোতে যোগ দিলে রাশিয়াকে নিজেদেরই পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্য দিয়ে পিরিস্থিতিকে আবার ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।

মস্কো বরাবরই স্পষ্ট করে বলে আসছে, তারা নেটো জোটের কোনওরকম সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে। ইউক্রেইনকেও নেটো জোটে সামিল না হতে এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়া। এরপর সোমবার ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়া বলেছে, এমন পদক্ষেপ ইউরোপে স্থিতিশীলতা আনবে না।

ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নেটো সদস্য না হলেও জোটটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। তবে সদস্যপদ না থাকায় আক্রান্ত হলে ইউক্রেইনের মতো তারাও সরাসরি নেটো সুরক্ষা পাবে না।


নেটোতে যোগদানের বিরুদ্ধে সুইডেন-ফিনল্যান্ডকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি