ক্যাটাগরি

কুমিল্লায় সংবাদকর্মীকে গুলি করে হত্যা

বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বুড়িচং থানার ওসি মো.আলমগীর হোসেন।

নিহত মহিউদ্দিন সরকার নাঈম (২৮) পাশের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের উলুয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন সরকারের ছেলে। তিনি আগে আনন্দ টেলিভিশনের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়া দৈনিক কুমিল্লার ডাক নামে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে স্টাফ রিপোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন।

খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নাঈমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর হোসেন বলেন, নাঈমকে রাত ১১ টার দিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে ৪/৫টি গুলি লেগেছে। পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওসি আলমগীর বলেন, “হায়দ্রাবাদনগরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় রাতে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত নাঈমকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলির শব্দ পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়দের মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠায়। এরই মধ্যে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।”

কী কারনে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

ওসি বলেন, “আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। বিজিবি আমাদেরকে বলেছে, তাকে আহত অবস্থায় সীমান্তের ১০ হাত ভেতরে পেয়েছেন তারা।”

নাঈমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান হায়দ্রাবাদনগর এলাকার মো.রাব্বিসহ তিনজন যুবক।

রাব্বি সাংবাদিকদের বলেন, “রাত ১০টার দিকে বিজিবির লোকজন আমাদেরকে বলে দ্রুত একজন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরে আমরা কোনো গাড়ি না পেয়ে রুবেল নামে একজনের মোটরবাইকে করে তাকে প্রথমে শঙ্কুচাইল বাজারে আনি। এরপর একটি সিএনজিতে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসি। এখানে আসার পর ডাক্তার বলে, তিনি আগেই মারা গেছেন।”

নাঈমকে কারা, কেন গুলি করেছে, সে বিষয়ে রাব্বিও কোনো ধারণা দিতে পারেননি।

স্থানীয় একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যারা নাঈমকে গুলি করেছে, তারা ওই এলাকার পেশাদার মাদক চোরাকারবারি।