ঐতিহ্যবাহী
জামদানি, তাঁতের শাড়ি, হরেক রকমের পাটপণ্যের পাশাপাশি কাঠের পুতুল, মাটির টেপা পুতুল,
বাঁশ ও বেতের তৈরি নানা পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।
বাংলা
নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির
আয়োজনে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা খোলা থাকবে মেলা।
এর
আগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা হলেও এবার হচ্ছে চৌদ্দ দিনব্যাপী।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখের দুপুরে এই কারুপণ্য
মেলার উদ্বোধন করেন।
তিনি
বলেন, “এই বৈশাখী মেলা আমাদের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। আমরা যেখানে থাকি না কেন, ধর্ম
বর্ণ নির্বিশেষে আমরা বাঙালি। কারুপণ্যের এই মেলায় আমরা বাঙালি সংস্কৃতিকে যেমনি তুলে
ধরছি, তেমনিভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও আমরা গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে এসেছি।”
সংস্কৃতি
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “দুই বছর পর আবারও বৈশাখী মেলা হচ্ছে। ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের
পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই এ আয়োজন।
“কুটির
শিল্পের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত থাকেন, যারা ঋণ খেলাপ করেন না, সামান্য পুঁজি দিয়ে যারা
ব্যবসা পরিচালনা করেন, তাদের নিয়ে এই মেলা। এদেশের মানুষের শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির
রুচিবোধটাকে কীভাবে পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়, সেজন্য আমরা প্রতি বছর এ ধরনের
মেলার আয়োজন করি।”
বাংলা
একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্প
মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এবং
বিসিক চেয়ারম্যান মু. মাহবুবর রহমান উপস্থিত
ছিলেন।