উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের রেজাকপুর গ্রামে এই খননকাজ চলছে গত ১২ মার্চ থেকে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক আফরোজা খান মিতা বলেন, এ পর্যন্ত খননে তারা হাঁড়ি, কলস, বাটি, থালা, বদনা, কড়াইসহ বিভিন্ন মৃৎপাত্র ও মৃৎপাত্রের টুকরা পেয়েছেন। এছাড়া পোড়ামাটির ফলকের ভাঙা অংশ, অলংকৃত ইট, কড়ি প্রভৃতি শৌখিন জিনিসের পাশাপাশি পোড়ামাটির প্রতিমার ভাঙা অংশ মিলেছে।
“প্রাপ্ত বস্তু থেকে প্রাথমিকভাবে আমরা অনুমান করছি, এটি একটি ধর্মীয় উপসানালয়, যা খ্রিস্টীয় নবম থেকে দ্বাদশ শতকের হতে পারে।”
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে সাতক্ষীরার তালা থেকে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষের কথা পাওয়া যায়; জানা যায় একটি ঢিবির কথা, যা খননকাজে আগ্রহী করে প্রত্ন বিভাগকে।
আফরোজা খান মিতা বলেন, “খননে উন্মোচিত এই ঢিবিতে একটি বর্গাকার স্থাপত্যকাঠামো ও সেখানে বর্গাকার একটি কক্ষ ঘিরে একটি প্রদক্ষিণ পথ রয়েছে। প্রদক্ষিণ পথটি দেয়াল দিয়ে পরিবেষ্টিত। এই কাঠামোর কোণগুলোতে কৌণিকভাবে প্রসারিত দেয়াল পাওয়া গেছে। দেয়ালগুলোর স্বরূপ বোঝা যাবে খননকাজ আরও বেশি স্থানজুড়ে প্রসারিত হলে।”
এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ প্রর্যন্ত তারা খননকাজ চালাবেন বলে তিনি জানান। তবে সেই সময়ের মধ্যে খননকাজ কতটুকু প্রসারিত হবে সে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।