বৃহস্পতিবার কাশিমপুর
কেন্দ্রীয় কারাকর্মকর্তারা নিজ নিজ কারাগারের নানা অনুষ্ঠানসূচির কথা জানান।
বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে দেশের
প্রায় সব কারাগারে বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়।
মেজবানির খাবারে
প্রধানত থাকে ভাত, মাংস ও ছোলার ডাল। ঢাকায় প্রতিবছর মেজবানির আয়োজন করে চট্টগ্রাম
সমিতি, স্থানীয় ভাষায় এটিকে ‘মেজ্জান’ বলা হয়। করোনা মহামারীর মধ্যে গত দুবছর এই
আয়োজন বন্ধ ছিল।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয়
কারাগার-১ এর সুপার মো. নুরুন্নবী ভূইয়া জানান, এ কারাগারে বন্দির সংখ্যা প্রায়
দেড় হাজার। তাদের মধ্যে ৭৩ জন ফাঁসির এবং ১৭২ যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রয়েছেন।
“নববর্ষের দিন এ
কারাগারের বন্দিদের জন্য সন্ধ্যায় ইফতারি ছাড়াও রাতে চট্টগ্রামের মেজবানিখ্যাত
খাবার মাংস, ভাত, মাছসহ কোল্ড ড্রিংস ও সালাদের আয়োজন করা হয়েছে।”
কাশিমপুর কেন্দ্রীয়
হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেলার দেব দুলাল জানান, এ কারাগারে দুই হাজার ৯০০ বন্দি
রয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাড়ে আটশ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে
সাতশ। এ কারাগারে নবর্ষের রাতে পোলাও, মাংস, ডিম, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংস, পান-সুপারি
ও সালাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয়
কারাগার-২ এর জ্যেষ্ঠ সুপার
আব্দুল জলিল জানান, এখানে বন্দির সংখ্যা হলো দুই সহস্রাধিক। তাদের মধ্যে ফাঁসির
দন্ডপ্রাপ্ত শতাধিক এবং যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত বন্দি ৪শর মতো। এ কারাগারে হাই
সিকিউরিটি কারাগারের মতো প্রায় একই ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সকালে বন্দিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
কাশিমপুর মহিলা
কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, এখানে মোট বন্দির সংখ্যা ৭৯৮। তাদের
সঙ্গে রয়েছে বন্দিদের আরও ৭৭ জন শিশু। এখানে ফাঁসির ৩০ জন এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত
আসামি রয়েছে ৬৫ জন।
তিনি জানান, নববর্ষে
উপলক্ষে এদিন সকালে বন্দিদের অংশগ্রহণে নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়। এছাড়া রাতে তাদের জন্য বিশেষ খাবারের মধ্যে রয়েছে পোলাও, মাংস,
পান-সুপারি, সালাদ ও কোল্ড ড্রিংস।