ক্যাটাগরি

বাসের আগাম টিকেট বিক্রির শুরুতে সেই ভিড় নেই

শুক্রবার এসব কাউন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে
২৬ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত টিকিট। তবে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে অগ্রিম
টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি।

অন্যান্য বছর বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি
শুরু হতেই কাউন্টারের সামনে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তবে এবার ঢাকার শ্যামলী, কল্যাণপুর
ও গাবতলীর কয়েকটি বাস কাউন্টার ঘুরে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি।

হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এবার ঈদের ছুটি বেশ লম্বা। এ কারণে যাত্রীরা কোনো
তাড়াহুড়ো করছে না। টিকেট বিক্রি শুরু হলেও ভিড় কম।

“টিকেটের চাহিদা কম। ঈদের আগে-পরে ছুটি পড়েছে।
এ কারণে মানুষ হুড়োহুড়ি করছে না। যাবে হয়তো ধীরে ধীরে। সামনে ভিড় কিছুটা বাড়বে।”

২ মে ঈদ হবে ধরে নিয়ে এবার ১ থেকে ৩ মে ছুটি
ঘোষণা করা আছে। তার আগে দুদিন পড়েছে শুক্র ও শনিবার। ফলে ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ২৮
এপ্রিলের চাহিদা এবার বেশি থাকবে।

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান
রমেশ ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২৬ তারিখ থেকে ১ তারিখ পর্যন্ত টিকেট
বিক্রির জন্য মালিকরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন, সে অনুযায়ী সব টিকেট ওপেন করা হয়েছে।

“যাত্রীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারিত
তারিখের টিকেট কিনতে পারবেন। যার যেদিনের টিকেট লাগবে সে সেদিনের টিকেট নিতে পারবে।”

গাবতলীর ও কল্যাণপুরের কাউন্টারগুলো থেকে
মূলত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। একেক পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি
শুরু হয়েছে একেক সময়ে।

সোহাগ পরিবহনের মালিক ফারুক তালুকদার সোহেল
বলেন, “কেউ আজ থেকে দিচ্ছে। কেউ কাল-পরশু দেবে। আমাদের পরিবহনের টিকেট আমরা দেওয়া শুরু
করেছি। যতক্ষণ টিকেট থাকবে ততক্ষণ আমরা টিকেট দেব।”

২৯ তারিখে দিনাজপুরের টিকেট নিতে আসা রুহুল
আমিন বলেন, “কাউন্টারে আমাদের পরিচিত লোক আছে। তারাই জানিয়েছেন টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।
এজন্য সকালে এসেছি। কিন্তু খুব বেশি ভিড় নেই। তিনজনের টিকেট কিনেছি। ভাড়াও খুব বেশি
নেয়নি।”

৩০ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও যাওয়ার টিকেট কিনেছেন
মোহাম্মদ নাজিম হোসেন। সময় বাঁচাতে পঞ্চগড়গামী বাসের টিকেট কিনেছেন বলে জানালেন।

“বিকালে ঠাকুরগাঁয়ের কোনো বাস ছাড়ে না। সেগুলো
রাত ৮টার পর যায়। আর পঞ্চগড়ের বাস ছেড়ে যায় বিকালে, এ সময় যানজট কম থাকে। সেজন্য ওই
টিকেট কেটেছি।”

মহাখালী বাস টার্মিনালে ৩০ রোজা থেকে ঈদের
টিকেট বিক্রি শুরু হবে বলে বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানিয়েছেন।

“আমাদের টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গের কয়েকটা
রুটের বাস যায়। এ ছাড়া বেশিরভাগ স্বল্পদূরত্বের রুট। এ কারণে আমরা বেশি আগে থেকে টিকেট
বিক্রি করি না।”