তারা তাইওয়ান প্রণালী ঘিরে
উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের দায় দিয়েছে এবং তাদের সফরকে ‘উসকানিমূলক’ অ্যাখ্যাও দিয়েছে।
শুক্রবার চীনের সেনাবাহিনী
পূর্ব চীন সাগর ও তাইওয়ানের আশপাশে ফ্রিগেট, বোমারু ও জঙ্গিবিমান পাঠায় বলে পিপলস লিবারেশন
আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
একইদিন তাইপেতে মার্কিন
আইনপ্রণেতারা একটি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“সম্প্রতি তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘন ঘন ভুল
সংকেত দেওয়ার পাল্টায় এই অভিযান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এসব অপকর্ম ও কৌশল একেবারেই
অকার্যকর ও খুবই বিপজ্জনক। যারা আগুন নিয়ে খেলবে, তারা নিজেদেরই পোড়াবে,” তাইওয়ান সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের নাম না নিয়ে বিবৃতিতে এমনটাই
বলেছে পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড।
আলাদা এক বিবৃতিতে চীনের
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের সফর ‘ইচ্ছাকৃতভাবে দেওয়া উসকানি’ এবং এটি ‘তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনাকে আরও বাড়ানোর দিকে নিয়ে
যাবে’।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান
সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকের সময় স্বশাসিত
দ্বীপটির নেতাকে বলেছেন, ইউক্রেইন যুদ্ধ এবং চীনের উসকানিমূলক আচরণ তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন
মতামত এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছে, যা আগে কখনোই দেখা যায়নি।
“তাইওয়ানকে ত্যাগ করা হবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে
পরিত্যাগ করা। গুন্ডামি, খারাপ মানুষদের নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া বাড়ছে,” বলেছেন তিনি।
গ্রাহামসহ ডেমোক্র্যাট,
রিপাবলিকান ৬ আইনপ্রণেতা দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার তাইওয়ানে নেমেছেন, তাদের এ সফরের
কথা আগে থেকে জানানো হয়নি।
এ ধরনের সফর এবং তাইওয়ানকে
‘দেশ’ বলা বেইজিং ভালো চোখে না। চীন এ দ্বীপটিকে তাদের
একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের
আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকলেও ওয়াশিংটনই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাইপের বড় বন্ধু; দ্বীপটিকে
সবচেয়ে বেশি অস্ত্রও দেয় যুক্তরাষ্ট্র।