সোমবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যমে এই খবর আসে।
কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিন পরও সুস্থতার লক্ষণ না দেখে রোববার রাতে ৫৫ বছর বয়সী জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান লিখেছে, “বরিস জনসনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
“তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার চিকিৎসকদের পরামর্শে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটুকু জানা গেছে, তার চেতনা রয়েছে, তবে তার যদি ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন দেখা দেয়, তা দেওয়ার জন্যই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।”
জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ব্রিটিশ সরকার প্রধান হিসেবে তিনিই থাকছেন বলে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছিল।
গত মাসে পরীক্ষায় জনসনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। তারপর থেকে ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।
কিন্তু ১০ দিন পার হওয়ার পরও শরীরে জ্বর থাকায় পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার বলে মনে করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
এরপর জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যাকে ‘পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ বলে দাবি করে ব্রিটিশ সরকার। তাকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তা তখন প্রকাশ করা হয়নি।
“তার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আজ রাতে পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে,” জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে।
“এটি পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, কারণ পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার ১০ দিন পরও প্রধানমন্ত্রী ভাইরাসটির লক্ষণ বহন করছেন,” বলা হয় ওই বিবৃতিতে।
জনসনকে আইসিইউতে নেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেইন্ট টমাস হাসপাতালে রয়েছেন, তার শুশ্রূষা ভালোই হচ্ছে।
বরিস জনসন আইসিইউতে যাওয়ায় রাবই সরকার প্রধানের কাজ চালিয়ে যাবেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর কঠিন সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং দৃঢ়সংকল্প নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার ডাক দেওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা পর জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করার খবর আসে বলে জানায় রয়টার্স।
জনসনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রানিকে জানানো হয়েছে বলে বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তা ২৭ মার্চ ঘোষণা করেছিলেন জনসন। তারপর থেকে ডাউনিং স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্টে আইসোলেশনে ছিলেন এবং শুক্রবারও শরীরে জ্বর থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে জনসন করোনাভাইরাস রোগীদের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা জানিয়েছিলেন।