তাছাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক বাজার, বিভিন্ন
সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বয়ড়া ইউনিয়ন
পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদুর রহমান ফরিদ।
২০১৬ সালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আলগীরচর
থেকে হারুকান্দি ইউনিয়নের শেষ পর্যন্ত নদীতীর রক্ষায় ৮.৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ
করা হয়। নদীভাঙন রোধে ফ্ল্যাড অ্যান্ড রিভার ব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম প্রথম পর্যায়ের আওতায় এ কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চেয়ারম্যান ফরিদুর বলেন, বাঁধ এলাকায় কাঞ্চনপুর,
রামকৃষ্ণপুর, হারুকান্দি, আজিমনগর ও লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি
গ্রামের হাজার পরিবার ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে।
গত বছর কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর এলাকায়
অনেকগুলো বাড়ি ভেঙে গেছে আর এ বছর ইউনিয়নের কালিতলা-কুশিয়ারচর এলাকায় ভাঙন শুরু
হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম রুপক।
তিনি ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বাঁধ সংস্কার ও ভাঙনরত এলাকায় নতুন বাঁধ নির্মাণ
করা জরুরি বলে মনে করেন আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হরিরামপুরের সন্তান তৈয়বুল
আজহার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হরিরামপুর
থানার পেছনের কড়ইতলা ভেঙে গেলেই পদ্মা ঢুকে যাবে থানার সীমানায়। তাই এদিকে সবার
সহযোগিতা আবশ্যক।
পাটগ্রাম অনাথবন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরিপদ সূত্রধর সতর্ক করে বলেন, “ছোটবেলা থেকে পদ্মার ভাঙন দেখেছি।
ভাঙনে হরিরামপুরের শত শত গ্রাম, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, ফসলের
ক্ষেত বিলীন হয়ে গেছে।”
তিনি হরিরামপুর রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
জানান।
হরিরামপুরের ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,
বাঁধের ভাঙন বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন তিনি। শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ
দল আসবে বলেও তিনি আশা করেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা
নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈনুদ্দিন বলেন,
বাঁধ সংস্কারসহ অনেকগুলো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ
শুরু করবেন তারা।