ক্যাটাগরি

পিএসএলের পর পিজেএল, রমিজ রাজার চমকপ্রদ প্রকল্প

নতুন এই প্রতিযোগিতার নাম দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান জুনিয়র লিগ (পিজেএল)। আগামী অক্টোবরে মাঠে গড়াবে ২০ ওভার ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী আসর।

এতে অংশ নেবে পাঁচটি দল। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দেশটির যে শহরগুলোর নামে দল আছে সেগুলো এখানে থাকবে না, পিজেএলে থাকবে অন্য শহরের নাম। অবশ্য পিএসএলের ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও এই টুর্নামেন্টে দল নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে পিসিবির জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হতে যাচ্ছে ব্রডকাস্টার ও স্পন্সর পাওয়া।

বিভিন্ন স্বত্বের জন্য আগ্রহীদের খোঁজে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পিসিবি। অনেক পরিশ্রমের এই লিগ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত বোর্ড প্রধান রমিজ রাজা।

“অনেক দিনের কঠোর পরিশ্রম ও পরিকল্পনার পর আজ আমরা পাকিস্তান জুনিয়র লিগের জন্য ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট ডকুমেন্ট’ প্রকাশ করেছি। এই ধরনের আন্তর্জাতিক লিগ বিশ্বে এটাই প্রথম।”

“এটি শহর-ভিত্তিক লিগ হবে, বয়স ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নির্বাচন করা হবে ড্রাফটের মাধ্যমে। মেন্টর ও কোচের ভূমিকায় লেজেন্ডস ও আইকন ক্রিকেটারদের ডাগ-আউটে রাখার একটি পরিবেশ তৈরি করবে পিসিবি। একই সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের সম্প্রচারকেরও ব্যবস্থা করবে।”

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো পরিবর্তন হচ্ছে। বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটের দলগুলো হয় অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যন্ত। কিশোর ক্রিকেটাররা এখন ওয়ানডে ও তিন দিনের টুর্নামেন্টে খেলেন। এবার একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দেশটির আগামী প্রজন্মকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করবে বলে বিশ্বাস পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজের।

“একজন তরুণ শিক্ষানবিশকে সঠিক পরিবেশে রেখে জিনিয়াসে রূপান্তর করা সম্ভব, যেটা আমরা এর মাধ্যমে করতে চাই। পাকিস্তান জুনিয়র লিগের মতো উদ্যোগগুলো হলো ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগ তৈরি করা, প্রতিভা চিহ্নিত করা, তাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলা এবং ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া।”

দলসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অংশীদার আগ্রহীদের ২৬ এপ্রিলের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।