
প্রতীকী ছবি
নগরীর পাহাড়তলী থানার ঈদগাঁও কাঁচা রাস্তার মোড়ে শুক্রবার রাতে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে গভীর রাতে মো, ফাহিম নামে আনুমানিক ১৬ বছর বয়েসী এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
ফাহিম হালিশহর আফজাল ফকির রোডের ধোপা পুকুর পাড়ের বাসিন্দা মো. জহিরের ছেলে। গBপূর্ত বিদ্যা নিকেতনের
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তিনি।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আরিফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুই দল কিশোরের মধ্যে বিরোধের জেরে ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পাঁচ কিশোরকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের আটকে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
সহকারী কমিশনার আরিফ বলেন, ঈদগাঁও কাঁচা রাস্তার মোড়ে দুলহান কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দুই দল কিশোরের মধ্যে বিতণ্ডা হয় সন্ধ্যার পর। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
“সরে গিয়ে এক পক্ষ স্থানীয় একটি টং দোকানের সামনে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে অপর পক্ষ সেখানে যাওয়ার পর পুনরায় ঝামেলা শুরু করে। এসময় ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।”
পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ বলেন, “ফাহিমের বাম হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। শুনেছি ছুরিকাঘাতের পর তার বন্ধুরা স্থানীয়ভাবে তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য কয়েকটি ওষুধের দোকানে নিয়ে গিয়েছিল। তারা কেউ চিকিৎসা দিতে না পারায় রাত দেড়টার দিকে ফাহিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়।”
পাহাড়তলী থানার ওসি
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “প্রাথমিকভাবে জেনেছি দুলহান কমিউনিটি সেন্টারে একটি
বস্ত্র মেলা হচ্ছে। সে মেলায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি
খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ওসি জানান, শনিবার সকাল
পর্যন্ত আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফাহিমের সমবয়েসী চার জনকে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।