ইউক্রেইনের
দুটি ব্যাটেলিয়নের কর্মকর্তারা শুক্রবার দ্য টাইমস অব লন্ডনকে বলেছেন,
গত সপ্তাহ ও তার আগের
সপ্তাহে এসএএস বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেছে।
প্রশিক্ষকরা
তাদের ট্যাংকবিধ্বংসী ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র এনএলএডব্লিউ চালানো শিখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক কমান্ডার।
রুশ
বাহিনী ইউক্রেইনে হামলা শুরুর পর প্রথমবার দেশটিতে
ব্রিটিশ সেনাদের দায়িত্ব পালনের খবর হলেও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তা নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেইনে
রাশিয়ার অভিযানে পশ্চিমা দেশগুলোর যুক্ত হওয়া মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়া- রাশিয়ার এই হুমকির মধ্যে
ইউক্রেইনে বিশেষ ব্রিটিশ বাহিনীর ইউক্রেইনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার খবর এল।
২০১৪
সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলে নেওয়ার পর থেকেই ইউক্রেইনে
ব্রিটিশ সেনা প্রশিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল; কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনে হামলা চালাতে যাচ্ছেন এই আশঙ্কা থেকে
ফেব্রুয়ারিতেই সব প্রশিক্ষককে দেশটি
থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
টাইমস
অব লন্ডন ইউক্রেইনের যে দুই কমান্ডারের
সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের একজন ক্যাপ্টেন ইউরি মিরোনেনকো, অন্যজন কিইভের বিশেষ বাহিনীর কমান্ডার, যার ডাকনাম ‘স্কিফ’।
মিরোনেনকো
বলেছেন, কিইভের ওবোলনে অবস্থিত তার ব্যাটেলিয়নের নতুন ও সেনাবাহিনীতে ফের
যুক্ত হওয়া সদস্যদের ব্রিটিশ এসএএস দুই সপ্তাহ আগে কিভাবে এনএলএডব্লিউ চালাতে হবে তার প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ফেব্রুয়ারি
থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ইউক্রেইনকে তিন হাজার ৬০০-র বেশি নেক্সট
জেনারেশন লাইট অ্যান্টি-ট্যাংক উইপন (এনএলএডব্লিউ) দিয়েছে। রণাঙ্গনে রাশিয়ার শ্লথগতির, বেশ পুরনো ট্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে এগুলো কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় কিইভ লন্ডনের কাছে হালকা, সহজে ব্যবহারযোগ্য এ অস্ত্র আরও
চেয়েছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
স্কিফ
বলেছেন, তার ইউনিট যে ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে
সংযুক্ত, সেই ১১২তম ব্যাটেলিয়নকে ব্রিটিশ সেনারা গত সপ্তাহেই প্রশিক্ষণ
দিয়েছে।
স্কিফের
ঊর্ধ্বতন কমান্ডার, যার ডাক নাম ‘বিয়ার’, তিনিও স্কিফের দেওয়া তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
“তারা
খুব ভালো। তারা আমাদেরকে যুদ্ধ শেষ হলে তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ারও আমন্ত্রণ জানিয়েছে,” বলেছেন তিনি।
মিরোনেনকো
বলছেন, ব্রিটিশ প্রশিক্ষক ছাড়া তার দেশের সেনাদের এনএলএডব্লিউ চালাতে ইউটিউবের দ্বারস্থ হতে হতো, যেখানে এটি কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা শিখতে লাগতো
৫ মিনিট।
“আমরা
ভালো প্রশিক্ষণ পেয়েছি। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা আমাদের ইউনিটের সঙ্গে এখানে দুই সপ্তাহ আগে ছিলেন, তারা আমাদের ভালোই শিখিয়েছেন। আর যেহেতু আমরা
সফলতা পাচ্ছিই, এখন আমাদের আত্মবিশ্বাসও আছে,” বলেছেন তিনি।
ইউক্রেইনের
ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টাইমস অব লন্ডনকে জানায়,
বিশেষ বাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য না করার দীর্ঘদিনের
রীতি মেনে এবারও তারা এ বিষয়েও কোনো
মন্তব্য করবে না।