রোববার রাশিয়া মস্কো সময় সকাল ৬টা থেকে
দুপুর ১টা পর্যন্ত ইউক্রেইনীয় সেনা ও ‘বিদেশি ভাড়াটে
সেনাদের’ অস্ত্র সমর্পণে
সময় বেঁধে দিয়ে বলেছে, যারাই অস্ত্র নামিয়ে রাখবে, তাদেরকে যুদ্ধবন্দির মর্যাদা দেওয়া
হবে ও জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী আচরণ করা হবে।
অন্য দিনগুলোর মতো রোববারও ভোরের দিকে
ইউক্রেইনজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন শোনা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীর দেওয়া সকালের প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, মারিউপোলে রুশ বিমান হামলা অব্যাহত আছে, সমুদ্রবন্দরের কাছে অভিযানও চলছে।
অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,
তারা শনিবারই শহরটির অন্য সব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে, ইউক্রেইন বাহিনীর অল্প
কিছু সেনা এখন বিশাল এক ইস্পাত কারখানা সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
মস্কোর এ ভাষ্য সত্যি কিনা, তা যাচাই করতে
পারেনি রয়টার্স; তবে মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে এটি হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান
শুরু করা রুশ বাহিনীর কৌশলগত বড় অর্জন।
যে কারখানা এলাকার ভেতর ইউক্রেইনীয় সৈন্যরা
আছে বলে রাশিয়া দাবি করছে, সেটি আজভস্টাল কারখানা। এটাকে দূর্গও বলা যেতে পারে, এটি
যে শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত সেটির আয়তন ১১ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। এখানে অগণিত ভবন, ধাতু
গলানোর চুলা এবং রেল লাইনও আছে।
শহরটি রক্ষায় যারা লড়াই করে আসছিল, তাদের
মধ্যে ইউক্রেইনের মেরিন, মোটরাইজড ব্রিগেড, ন্যাশনাল গার্ড ব্রিগেডের পাশাপাশি আজভ রেজিমেন্টের সদস্যরাও আছে।
কট্টর-ডান জাতীয়তাবাদীদের সৃষ্ট মিলিশিয়া
বাহিনী আজভ ইউক্রেইনের ন্যাশনাল গার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
ইস্পাত কারখানা এলাকায় ইউক্রেইনের কত সেনা
এখন আছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
“মারিউপোলের পরিস্থিতি
খুবই জটিল। আমাদের সেনারা আটকে আছে, আহতরাও আটকে আছে। সেখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে,
তা সত্ত্বেও তারা নিজেদের রক্ষা করে যাচ্ছে,” সংবাদমাধ্যম
ইউক্রেইনস্কা প্রাভদাকে এমনটাই বলেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।