এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
সেইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র্যাগ ডে’ উদযাপনের নামে এ ধরনের ‘কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর’ কর্মকাণ্ড বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
শিক্ষাসচিব, তথ্যসচিব, সংস্কৃতি সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র্যাগ ডে’ উদযাপন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৭ এপ্রিল এই রিট আবেদন করেন আইনজীবী কামরুল হাসান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র্যাগ ডে’ উদযাপনের নামে ‘ডিজে পার্টিসহ, বুলিং, নগ্ন-অশ্লিল, উন্মত্ত, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ড’ বন্ধের নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি রুল জারির আরজি জানানো হয় সেখানে।
একই বিষয়ে তিনি এর আগে উকিল নোটিস দিয়েছিলেন বিবাদীদের। তাদের সাড়া না পেয়ে তিনি এই রিট মামলা করেন।
সেখানে বলা হয়, ‘র্যাগ ডে’ উদযাপনের যেসব ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, এসব ভিডিও “এতটাই আপত্তিকর যে, তা যে কোনো তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীদের নৈতিকতা, মূল্যবোধকে নষ্ট করে দিতে পারে।
“শুধু তাই না, র্যাগ ডে উদযাপনের নামে যা হয়েছে, তা আমাদের প্রচলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, ঐতিহ্যকে আঘাত করে। অথচ বিবাদীরা এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে নিস্ক্রীয় ছিল, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।”
আবেদনে বলা হয়, যেহেতু দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ শিশু-কিশোর ও তরুণ এবং তারাই দেশের ভবিষ্যৎ, সেহেতু আগামী প্রজন্মকে এ ধরনের “অপসংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষার জন্য র্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা, ডিজে পার্টি ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়মূলক এসব কার্যক্রম বন্ধ করা প্রয়োজন।”