নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, “সু চি জনগণকে একতাবদ্ধ হতে বলেছেন। খোলাখুলি একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেছেন। প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন মত আছে- তাই ধৈর্য্যসহকারে আলোচনা এবং কথা চালিয়ে যেতে বলেছেন তিনি।”
সু চি কেন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন তার কারণ ব্যাখ্যা করেননি ওই কর্মকর্তা। তবে সু চির এই আহ্বান যে জান্তার সঙ্গে আলোচনায় বসার ডাক নয়, তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও সাড়া দেননি।
সু চি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে এবং অনেক মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ এবং সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার মতো নানা অভিযোগ। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ১৫০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
সু’চির আইনি প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলার রায় আগামী সপ্তাহেই হওয়ার কথা রয়েছে।
গতবছর মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সেই নির্বাচনে সু চির এনএলডি পার্টি বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছিল।
দেশটিতে এক দশকের গণতান্ত্রিক সংস্কারকে গুঁড়িয়ে দেওয়া সামরিক অভ্যুত্থান বড় ধরনের বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কঠোর হাতে সেসব বিক্ষোভ দমনও করেছে।
জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো নৃশংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে। তবে সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।