দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সোমবার সংগঠনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আতিকুর রহমান পারভেজ পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
পটুয়াখালীর ব্যবসায়ী শিবু লাল দাস ও তার গাড়ি চালক মিরাজকে অপহরণ করে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। একদিন পর তাকে শহরের এসপি ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আতিকুর রহমান পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরীর নির্দেশক্রমে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত ১৮ এপ্রিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মো. আতিকুর রহমান পারভেজকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের নির্দেশক্রমে পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান পারভেজকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
গত ১১ এপ্রিল সোমবার রাতে গলাচিপা উপজেলার ব্যবসা কেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী শহরের নিজ বাসায় ফেরার পথে হরিদেবপুর-শাখারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কোনো স্থান থোক ব্যবসায়ী শিবু লাল দাস ও তার গাড়ি চালক ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ অপহৃত হন। ওই দিন রাতেই বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমগাছিয়ার একটি পেট্রোল পাম্প থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
রাত ২টার দিকে শিবু দাসের মোবাইল থেকে তার স্ত্রী গীতা দাসের মোবাইলে ফোন করে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কাজীপাড়া এলাকায় এসপি কমপ্লেক্স শপিং সেন্টারের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে শিবু লাল দাস ও মিরাজকে দুই হাত, দুই পা, মুখে, চোখে রশি, কাপড় ও কসটেপ দিয়ে বাঁধা প্লাস্টিকের বস্তা-ভরতি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শিবু লালের ছেলে বুদ্ধদেব দাস বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের দীর্ঘ অভিযানে মো. আতিকুর রহমান পারভেজসহ ঘটনায় জড়িত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার পুলিশ। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে ঢাকার গোয়েন্দারা ও পটুয়াখালীর পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।