সোমবার দিনের শুরুতেই এসব হাউজের ওইসব ট্রেডার বেশ কয়েকটি
বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার দাম না বসিয়েই বিক্রির আদেশ দেন। এতে এসব শেয়ার দিনের
সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন দরে বিক্রি হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব সূচকে পড়ে
বলে জানায় বিএসইসি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার পর্যবেক্ষণে পরে তা ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ সিকিউরটিজ
অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী
পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা ব্রোকারেজ
হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। প্রথমে ট্রেডারদের কাছে কারণ
জানতে বলেছি। সঠিক উত্তর দিতে না পারলে তাদের বহিষ্কার করতে বলেছি।”
তিনি জানান, ৯টি ব্রোকারেজ হাউজের ১৫ জন ট্রেডার
সকালে খুব কম দামে ভালো কিছু কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দিলে এর প্রভাব পরে
পুঁজিবাজারে। ভালো কোম্পানির শেয়ার হওয়ায় সূচক দ্রুত কমে যায়।
ডিএসইর যেসব হাউসে এ ঘটনা ঘটেছে সেগুলো হল-
আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, পার্কওয়ে সিকিউরিটিজ, কাইয়ুম
সিকিউরিটিজ, রশিদ
ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস,
শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, টিএখান
সিকিউরিটিজ, জেকেসি
সিকিউরিটিজ ও কাজী ইক্যুইটিজ।
পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে
যারা শেয়ার কেনাবেচার কাজ করেন তারা ট্রেডার হিসেবে পরিচিত। সিকিউরিটিজ আইন
অনুযায়ী, ট্রেডারদের
বলা হয় অথরাইজড রিপ্রেজেনটেটিভ বা অনুমোদিত প্রতিনিধি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিযুক্ত ট্রেডাররা এদিন
শুরুতেই কোনো দাম না উল্লেখ না করে বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রির আদেশ দেন। যেটিকে ‘মার্কেট
প্রাইস অর্ডার’ বলা হয়। অর্থাৎ তারা দিনের শুরুতেই সর্বনিম্ন দরে শেয়ার বিক্রির
আদেশ দিয়েছিলেন।
বিএসইসি বলছে, তারা নিয়ম ভেঙে এমন কাজ করেছিলেন।