মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৫ মে পর্যন্ত আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে বিকেলের মধ্যে হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই, ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
বিকালে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের বাইরে যখন এই বিক্ষোভ চলছিল, তখনও কিছু শিক্ষার্থী কলেজের সামনের রাস্তায় দোকানকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছিল। সন্ধ্যার আগে সংঘর্ষ থামলেও অধ্যক্ষের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
সন্ধ্যার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি অফিসেই আছি। হল বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।”
সংঘর্ষ: ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ
সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজের মঙ্গলবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ঘিরে ধরেন।
এক শিক্ষার্থী লেখক ভট্টাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনি তামাশা দেখতে আসছেন?”
তার কথা শেষ না হতেই আরেকজন বলেন, “কেন আসছেন এখানে? সারাজীবন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বাঁচালাম। রাত থেকে ঝামেলা চলছে। আপনাদের কেউ আসলেন না।”
জটলার মধ্য থেকে কয়েকজনকে লেখকের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। গালাগালিও করেন অনেকে। তবে এসবের জবাবে কিছু বলেননি লেখক।
দীর্ঘদিন ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ার জন্যও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। কলেজ শাখার নেতাকর্মীদের দাবি, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি থাকলে ব্যবসায়ীরা ‘এত সাহস পেত না’।
পরে হল বন্ধের ঘোষণা দিলে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন।
অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করা শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে গিয়ে লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, “হল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। প্রয়োজনে মার্কেট বন্ধ হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নয়।”