ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ
বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দিয়াড় বাঘইল গ্রামের ওই দুই বাড়ির লোকজন এই
দুটি বস্তু দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে ঘটনাস্থল
ঘিরে রাখে বলে তিনি জানান।
ফিরোজ আহমেদ এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, দিয়াড় বাঘইল
হাজি পাড়ায় শফিকুল ইসলাম প্রামাণিক ও আব্দুল গাফফার প্রামাণিকের বাড়ির সামনে বোমা স্থাপনের
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এর সত্যতা পায়।
“সেখানে বিদ্যুতের মোটা তারে সংযুক্ত বেশ বড় আকারের দুটি
বোমাসদৃশ বস্তু কাছাকাছি রাখা আছে। এগুলোর সাথে সার্কিটও যুক্ত রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পাবনা ও আশপাশের জেলায় পুলিশের বোমা
নিষ্ক্রিয়কারী দল না থাকায় ঢাকা থেকে প্রশিক্ষিত দল এসে ওই বস্তুগুলি যাচাই করে পরবর্তী
পদক্ষেপ নেবে। কারা কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এক বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ৮ জুন তাকে
প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কে বা কারা উড়ো চিঠি দিয়েছিল। এরপর এমন বোমাসদৃশ বস্তু রেখে
যাওয়ায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।