ত্রাণ
কার্যক্রমে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ
সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সেখানে
বলা হয়েছে, “করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত
করে নায্যমূল্য পেতে পারে সে লক্ষ্যে ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দরিদ্র মানুষের
মধ্যে বিতরণযোগ্য খাদ্যসামগ্রীর আওতায় আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্ত
করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হল।”
নভেল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে যাওয়া
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বিক্রি অনেক কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন
অঞ্চলের কৃষকরা।
অনেক
ক্ষেত্রে দাম কমে যাওয়ার পাশাপশি অবিক্রিত পচনশীল শাক-সবজি নষ্ট হওয়ার মাথায় হাত উঠেছে
কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
করোনাভাইরাস
প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা
দিতে চার দফায় ২২ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৫৬ হাজার ৫৬৭ মেট্টিকটন চাল বরাদ্দ
দিয়েছে সরকার।
এরমধ্যে
সোমবার শেষ দফার বরাদ্দে শিশু খাদ্য কিনতে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কৃষি উৎপাদন-বিপণন অব্যাহতে নির্দেশনা
করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ রোধে ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় কৃষি উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে সাতটি
নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
>>
করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রতিপালন করে খাদ্য
উৎপাদন বাড়াতে হবে। বসতবাড়ির আঙিনাসহ সকল পতিত জমিতে শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য ফসলের
চাষ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
>>
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও জরুরি পণ্য বিবেচনায় সার, বালাইনাশক, বীজ, সেচযন্ত্রসহ
সকল কৃষিযন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টরসহ) এবং যন্ত্রের খুচরা যন্ত্রাংশ, সেচযন্ত্রসহ কৃষিযন্ত্রে
ব্যবহৃত জ্বালানী, ডিজেল, কৃষিপণ্য আমদানি, বন্দরে খালাস, দেশের অভ্যন্তরে সর্বত্র
পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
>>
ঢাকার শেরেবাংলা নগরস্থ সেচ ভবন প্রাঙ্গণে কৃষক কর্তৃক উৎপাদিত নিরাপদ সবজি সরাসরি
বিক্রয়ের জন্য স্থাপিত প্রতি শুক্র ও শনিবারের ‘কৃষকের বাজার’-এ আসা কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি
ও সংশ্লিষ্ট কৃষকদের চলাচল অব্যাহত থ্কবে।
>>
সকল কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি চলাচল এবং এ সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের
চলাচল অব্যাহত থাকবে।
>>
আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আবাদের লক্ষ্যমাত্র অর্জন নিশ্চিতকরণে সঠিক সময়ে বীজতলা
তৈরি, রোপন, সেচসহ অনান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি সম্পন্ন
করতে হবে।
>>
কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর দপ্তর, সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে
অবস্থান করবেন। কারোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে নিজের এবং কৃষকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
সময়ে সময়ে সরকারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করুন।
>>
কৃষকের সাথে থাকুন, কুষকের পাশে থাকুন।
কৃষি
মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।