নগরীর
সিআরবি শিরিষ তলায় স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘গরীবের সুপার শপে’ ১০ টাকার মধ্যে
পছন্দের পণ্য কেনার সুযোগ পেয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
এক দিনের এই আয়োজনে এক টাকায় এক কেজি চাল এবং একই দামে মিলেছে একটি ডিম। তিন টাকায় এক কেজি ডাল, দুই টাকায় এক কেজি ছোলা এবং একই দামে
বিক্রি হয়েছে এক কেজি করে চিনি আর আটা।
নাম মাত্র মূল্যে কেনা গেছে বাঙ্গি,
তরমুজ, খেজুর, সবজিসহ নুডলস আর বিস্কুটও। বাজারে যখন প্রতিটি তরমুজের
দাম দুই থেকে তিনশ
টাকা, বিদ্যানন্দ দাম রেখেছে সর্বোচ্চ আট টাকা।
পারভীন
বেগম নামে একজন ক্রেতা বলেন, “জিনিসপত্রের অতি দামে বাজার করা অসম্ভব। সবকিছু কিনতে পারি না। এখান
থেকে অল্প দামে অনেক কিছুই কিনেছি।”
চট্টগ্রামে
বিদ্যানন্দের এ আয়োজনে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে এসেছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের
শিক্ষার্থী আফগানিস্তানের সারা রাজি।
ভাঙা
ভাঙা বাংলায় ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে প্যাকেটে ভরে দিচ্ছিলেন নানা ধরনের সদাই। বিদ্যানন্দের
এ উদ্যোগে অংশ নিয়ে পুরোটা সময় উচ্ছ্বসিতই ছিলেন তিনি।
এ
উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম
সেন। স্বেচ্ছাসেবীর পোশাক গায়ে চড়িয়ে
কাজ
করেন সুপার শপের বিক্রেতা হিসেবে।
বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি
বলেন, “যারা দিনে আনে দিনে খায় বললেও
ভুল হবে, তাদের জন্য বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এ উদ্যোগটি প্রশংসার
দাবিদার।”
এখনও
কোটি মানুষ দরিদ্র জানিয়ে এ সমাজবিজ্ঞানী বলেন, “তাদের কষ্টে
এগিয়ে আসা এবং সমব্যথী হওয়া বড় ব্যাপার। তারা যে, ১০ টাকায়
কয়েকশ টাকার পণ্য বিতরণ করছে এ প্রয়াসটি দুস্থ ও দরিদ্র মানুষদের সহায়তা করছে।”
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী
মো. জামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ মহামারীর কারণে অনেক দুর্ভোগে
আছেন।
“রমজান নিয়ে আমাদের যে, বাণিজ্য-সংস্কৃতি
আছে সেটার কারণে আরও দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।”
তিনি
বলেন, “সুপার শপে গিয়ে
আমরা স্বাধীনভাবে কেনাকাটা
করতে পারি। কিন্তু নিম্নবিত্ত মানুষের
এক্ষেত্রে সখ থাকলেও সাধ্য নাই। তাই তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এবং শান্তির পরশ বুলাতে
এ আয়োজন”