গেইমিং প্রতিষ্ঠান দুটির একসঙ্গে কাজ
করার ঘোষণাটি এসেছে সোমবার।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, বিভিন্ন ডিজিটাল
প্লাটফর্মের ভার্চুয়াল জগতে মানুষের অবাধ বিচরণ এবং তাদের ভার্চুয়াল পোশাক ও অন্যান্য
জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়া প্রতিষ্ঠান দুটির মেটাভার্স ধারণার মধ্যে রয়েছে। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা একে ‘ইনটারোপ্যারাবিলিটি’ বলছেন।
একাধিক কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক
যখন একই তথ্য শেয়ার বা ব্যবহার করতে পারে তখন একে ‘ইনটারোপ্যারাবিলিটি’ বলে।
তবে,
এই ধারণা এখনও অনেক বছর দূরের এবং এটি বাস্তবায়নে মেটা, মাইক্রোসফট ও এপিক গেইমস-এর
মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানসহ মেটাভার্স নির্মাতাদের সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে বলে প্রতিবেদনে
লিখেছে রয়টার্স।
ফ্লিকপ্লে এমন একটি অ্যাপ, যেখানে খেলোয়াড়রা
একটি ‘ইন্টার্যাক্টিভ ম্যাপ’ ব্যবহার করে, তাদের চারপাশ থেকে, ডিজিটাল ‘সংগ্রহ’ আনলক
করতে পারে। এর পর ফোন ক্যামেরা ব্যবহার করে সেসব সংগ্রহ বাস্তব জগতের ভিডিও ও অন্যান্য
কনটেন্ট তৈরিতে ব্যবহার করতে পারে।
অ্যাপটির প্রথম ‘নন-ফাঞ্জিবল টোকেন
(এনএফটি)’-এর ঘোষণাটিও এসেছে সোমবার। ‘ফ্লিকি’ নামের এই টোকেনে একটি নৃতাত্ত্বিক ‘ক্যামেলিয়ন’
এবং এর বিভিন্ন পোশাকের নকশা রয়েছে।
ফ্লিকি আয় করা গেইমারদের একটি অংশ এনএফটিকে
স্যান্ডবক্স-এ অ্যাভাটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
স্যান্ডবক্স একটি ওয়েব ও মোবাইল গেইম
প্ল্যাটফর্ম যেখানে ত্রিমাত্রিক একটি ভার্চুয়াল জগত তৈরি করতে পারেন গেইমাররা।
প্রাথমিকভাবে, স্যান্ডবক্সের জন্য ‘ক্যামেলিয়ন’-এর
একটি সংস্করণ আনলক করবে ফ্লিকির স্বত্বাধিকারীরা।
শীঘ্রই একই সংস্করণে তারা এই ডিজিটাল
সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন, যেটি দুটো গেইমের ব্লকচেইনেরই সমর্থন পাবে।– রয়টার্সকে
বলেছেন ফ্লিকপ্লে প্রধান পিয়েরিনা মেরিনো।
“এই আত্মীকরণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটিই
প্রথম ভার্চুয়াল জগতকে এনএফটির সঙ্গে যোগ করার সেতু এবং এর সঙ্গে বাস্তব জগতের ব্যবহার
যুক্ত।”–বলেছেন স্যান্ডবক্স-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা সেবেস্তিয়ান বোর্গে।
ফ্লিকপ্লে’র সঙ্গে এই চুক্তি আরও গভীর
অভিজ্ঞতা তৈরিতে সাহায্য করবে এবং এটি মেটাভার্স এবং স্যান্ডবক্স পর্যন্ত বিস্তৃত হবে
বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন বোর্গে।