মঙ্গলবার রংপুর নারী
ও শিশু নির্যাদন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ আবেদন করেন ওই চিকিৎসক স্ত্রী।
বিচারক রোকোনুজ্জামান
অভিযোগ গ্রহণ করে আগামী বৃহস্পতিবার [২১ এপ্রিল] বাদিনীর জবানবন্দি রেকর্ডের দিন ধার্য
করেছেন।
২০১৫ সালের ১১ মে ময়মনসিংহের
হালুয়াঘাট উপজেলার এই দুই বাসিন্দার বিয়ে হয়।
অভিযোগে স্বামী (৩২),
তার বাবা (৬০), এক ফুফাতো ভাই (২৭) ও চাচাকে (৫০) আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদীনির আইনজীবী
রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতম দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান,
মামলায় বাদীনি তার স্বামী বিচারিক হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন – ২০২১ সালের ২৫ অগাস্ট রংপুর জজশিপ
স্টাফ কোয়াটারে তাকে মারধর এবং চলতি বছর ২৮ মার্চ রংপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের
প্রধান ফটকে ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মারধরে গুরুতর জখম করেছেন।
অভিযোগ আরও বলা হয়,
ওই সময় তিনি ছুরি মেলেছেন, গলায় আঘাত করেছেন। তাই তাকে নয়টি সেলাই দিতে হয়েছে, ২১ দিন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নির্যাতনের কারণে বাদীনি শ্রবণ শক্তি হারিয়েছেন।
আইনজীবী খন্দকার রফিক
হাসনাইন বলেন, চিকিৎসা শেষে গত ১৭ এপ্রিল রংপুর কোতোয়ালি থানায় এজাহার করতে গেলে আসামি
বিচারক হওয়ায় থানায় মামলা নথিভূক্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়; তাই তিনি আদালতের আসেন।
পিপি আরও জানান, নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক)(খ)/৩০সহ দণ্ডবিধি ৩২৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত
বাদীনির জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার [২১ এপ্রিল] দিন ধার্য করেছে।