
ঈদযাত্রা সচ্ছন্দ করতে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পাশে সোমবার বনলতা নামে একটি ফেরিতে মেরামতের কাজ করতে দেখা যায়।
পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পাশে সোমবার দেখা গেছে, শাহ মখদুম ও বনলতা নামে দুটি ফেরি মেরামত করার পাশাপাশি ধোঁয়ামোছা করা হচ্ছে।
তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ডে তিনটি ফেরি মেরামত করা হচ্ছে বলে প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।
হাবিবুর রহমান পাটুরিয়া ঘাটের ভাসমান মেরামত কেন্দ্র মধুমতীর সহকারী প্রকৌশলী।
সাভারে আট লেনের কাজ আর যানজট ভোগাবে ঘরমুখোদের
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফেরি তিনটির নাম গোলাম মওলা, শাপলা শালুক ও শাহ আলী; মেরামতের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। তিনটির মধ্যে শাপলা শালুক আর গোলাম মওলা কয়েক দিনের মধ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যোগ দেবে।

মধুমতীর মিস্ত্রি জয়নাল আবেদীন জীবন জানান, ১০ বছর পর বনলতা ফেরির ইঞ্জিনের কাজ করছেন তারা। তিন-চার দিনের মধ্যে এর ইঞ্জিন মেরামতের কাজ শেষ হবে।
ঈদ সামনে রেখে যাত্রীদের ভোগান্তি যেন কম হয় তাই তারা রাত-দিন আমরা কাজ করছেন বলে জানান।
আর শাহ মখদুমের কাজ দুই-এক দিনের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান মধুমতীর মিস্ত্রি আব্দুল আহাদ ও নুরুল ইসলাম।
ঈদে ভোগান্তির শঙ্কায় বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়ক
রাসেল নামে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, “ঈদ সামনে রেখে ফেরি ধোঁয়ামোছা করছি। যাত্রীরা ভাল পরিবেশে ও ভোগান্তি ছাড়া পারাপার হলে আমাদেরও ভাল লাগে।“

উৎসব উপলক্ষে যানবাহনের চাপ বাড়ায় যাত্রী-চালকদের ভোগান্তি বাড়ে ফেরি পারের সময়। ফেরির স্বল্পতাই এর প্রধান কারণ।
শাহজাহান নামে একজন বাসচালক বলেন, ঈদের সময় ফেরির সংখ্যা কম হলে ভোগান্তির মাত্রা বাড়ে।
“তাই ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাই।”
ঈদযাত্রা: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পারাপারে দুর্ভোগ বাড়ার শঙ্কা
এই নৌপথে এখন ছোট-বড় মিলে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ।
তবে আশাবাদী হতে পারছেন না যাত্রীরা।

শাহমখদুম ফেরিটি মেরামতের পর ধোঁয়ামোছাও করা হয়। ঈদের আগে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পাশে দেখা যায় এমন সংস্কার কাজ।
আক্কাস আলী নামে একজন যাত্রী বলেন, ১০ বছর ধরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ দিয়ে যাতায়াত করেন তিনি। এ পথে সারা বছর কোনো না কোনো সমস্যা লেগে থাকে। স্বাভাবিক সময়ে ভোগান্তির মাত্রা কম থাকলেও উৎসবের সময় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
“ঈদে ঘাট কর্তৃপক্ষের পূর্বপ্রস্তুতি থাকলেও তা তেমন কাজে আসে না। সব সমস্যা একসঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান করা গেলে ভোগান্তি কিছুটা কমবে।”