মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের সোনাপুরা
গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন জানান।
নিহত রনি মোল্লা (৩২) সোনাপুরা গ্রামের ইয়াসিন মোল্লার
ছেলে।
এ ছাড়া আহত অবস্থায় সোহেল মোল্লা (৩৪) ও তৌকির মোল্লা
(৩০) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওসি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত
১২টার দিকে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ খবর পেয়ে আহত তিনজনকে উদ্ধার
করে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রনি মোল্লার
মৃত্যু হয়েছে।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোহেল
মোল্লা বলেন, তিনি ফরিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। মাদক ব্যবসায় বাধা
দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুনের সঙ্গে তাদের
বিরোধ রয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, এর জের ধরেই রাতে মামুনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাদের
বাড়িতে হামলা চালায়। তিন ভাইকে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
মামুনের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, মাদকসহ ১৮ থেকে ২০টি মামলা রয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও জহিরুল ইসলাম মামুনের সঙ্গে
কথা বলা যায়নি।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক
চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রেজাউল করিম বলেন, “মাথায় গুরুতর জখম ও অতিরিক্ত
রক্তক্ষরণের কারণে রনি নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
“সোহেল ও তৌকির সার্জারি বিভাগে
চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের শরীরে একাধিক জখমের চিহৃ রয়েছে।”