তিন বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার পর
মঙ্গলবার বিকেল পরপারে পাড়ি জমান মোশাররফ। তার চলে যাওয়া শোকের সাগরে ভাসিয়েছে দেশের
ক্রিকেট অঙ্গনকে।
ক্যান্সারের সঙ্গে মোশাররফের লড়াইয়ে আর্থিক-মানসিক
ও নানাভাবে পাশে থেকেছেন বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই। গত মাসেই সাকিব আল হাসানের
প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট থেকে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মোশাররফের চিকিৎসার সহায়তায়। সাবেক
স্পিনার তখনও ছিলেন হাসপাতালে। অবস্থার একটু উন্নতি হলে কয়েক দিন আগে তাকে বাসায় নেওয়া
হয়। কিন্তু হুট করেই মঙ্গলবার শরীর আবার খারাপ করার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা
তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বুধবার সকালে দেশে ফিরে
বিমান বন্দরে সাকিব বললেন, পথেই তিনি খবরটা পেয়েছেন আর জীবনের কঠিন সত্যটিও উপলব্ধি
করেছেন আরেকবার।
“আসলে খুবই দুঃখজনক। আমি যুক্তরাষ্ট্রে
ছিলাম, নিউজ দেখছিলাম যে উনি মাত্র বাসায় গেলেন, একটু ভালো অনুভব করছিলেন। ভাবলাম যে
কোনোভাবে বুঝি সারভাইভ করলেন। আরেকজনের সঙ্গে কথাও বলছিলাম এটা নিয়ে যে, হয়তো কম বয়স
দেখে সারভাইভ করতে পারছেন। তবে হঠাৎ করে…
খবরটা পাই যখন প্লেনে ছিলাম। খুবই দুঃখজনক…তবে জীবনে যে কোনো কিছুর গ্যারান্টি নেই,
সেটির একটি প্রমাণ।”
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার
রাতে মোশাররফের জানাজা নামাজে ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মোশাররফের স্ত্রী ফারহানা
রূপা নানা সময়েই বলেছেন, ক্যান্সারের সঙ্গে তাদের এই লড়াইয়ে শুরু থেকেই নানাভাবে তারা
পাশে পেয়েছেন মাশরাফিকে। বন্ধুর বিদায়ে বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক ফেইসবুকে একটি
ছবি দিয়ে শুধু লিখেছেন, “ভালো থাকিস বন্ধু…।”
ফেইসবুকে শোক জানিয়ে মোশাররফ রুবেলের জন্য
দোয়া চান মুশফিকুর রহিম।
“মোশাররফ রুবেল ভাইয়ের খবরটি জেনে সত্যিই
খারাপ লাগছে। বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি, পরিবারের সদস্যদের জন্যও প্রার্থনা
থাকছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দিনটি দুঃখের। চলুন আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি।”
মঙ্গলবার বিকেলে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে মোশাররফ
রুবেলের চলে যাওয়ার খবর শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন লিটন কুমার দাস। এছাড়াও তার বিদায়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল হক, মুস্তাফিজুর
রহমান, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজসহ বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে।