বুধবার ভোররাতে এক ভিডিও বার্তায়
তিনি এমনটি জানিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবিসি ও অন্যান্য গণমাধ্যমে
পাঠানো ভিডিওটিতে মেজর সেরহি ভোলেনা বলেছেন, রুশ সেনারা আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সময়সীমা
বেঁধে দিলেও তার সেনারা অস্ত্র ত্যাগ করবে না।
কিন্তু মারিউপোলের আজভস্তাইল
ইস্পাত কারখানায় তাদের সঙ্গে লুকিয়ে থাকা কয়েকশ নারী ও শিশু এবং আহত পাঁচ শতাধিক সেনার
জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
“বিশ্বের কাছে এটিই আমাদের শেষ
বার্তা। চিরজীবনের জন্য এটিই আমাদের শেষ বার্তা হয়ে থাকতে পারে। সম্ভবত আমাদের হাতে
কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টা আছে,” বলেছেন মেজর ভোলেনা।
“আমাদের সাহায্য করার জন্য বিশ্ব
নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের তৃতীয় একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অভিযান
সংগঠিত করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা,” বলেছেন তিনি।
চার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছড়ানো
বিশাল লৌহ ও ইস্পাত কারখানা আজভস্তাইল মারিউপোলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শেষ দুর্ভেদ্য
অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
“শত্রুর ইউনিটের সংখ্যা আমাদের
চেয়ে কয়েক ডজন বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারা আকাশে, কামানের সংখ্যায়, স্থল সেনা এবং মেশিনগান
ও ট্যাঙ্কের সংখ্যায় আমাদের চেয়ে অনেক প্রভাবশালী হয়ে দাঁড়িয়েছে,” বলেছেন ৩৬তম মেরিন
ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর ভোলেনা।
ওই কারখানায় কতোজন ইউক্রেইনীয়
সেনা আছে তা বলতে রাজি হননি তিনি কিন্তু তাদের ‘লড়াইয়ের মনোভাব অটুট’ আছে বলে দাবি
করেন। তবে আহতদের অবস্থা ‘খুব খারাপ’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
“তারা বেসমেন্টে আছে, সেখানে
পচে মরছে তারা,” বলেন তিনি।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেইনে
আক্রমণ শুরু করার পর থেকে মারিউপোল রাশিয়ার কৌশলগত লক্ষ্য হয়ে আছে।
গত সপ্তাহে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলেনস্কি বিবিসিকে বলেছেন, মারিউপোলে রাশিয়ার বোমবর্ষণে ২০ হাজারের মতো মানুষ
নিহত হয়েছেন এবং অজ্ঞাত সংখ্যককে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা তার।
আরও খবর:
মারিউপোলের সেনাদের আত্মসমর্পণে রাশিয়ার নতুন সময়সীমা