বুধবার নিজের ৬৮তম
জন্মদিনে বিষয়টি সামনে আনেন তিনি।
চার দশকের
ক্যারিয়ারে ‘রঙিন রূপবান’, ‘রাজনন্দিনী’, ‘রাজকন্যা’, ‘ রাজসিংহাসন’,‘ আলীবাবা সিন্দাবাদ’,‘নাগপূর্ণিমা’সহ বেশ কয়েকটি লোককাহিনি নির্ভর চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সাফল্য
পেয়েছিলেন রোজিনা।
রোজিনা বলেন, “তখন অনেকেই আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে
বলেছিলেন, রোজিনা ফোক-ফ্যান্টাসির অভিনয় ছাড়া কিছুই জানে না। অথচ আমার ক্যারিয়ারে ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’, ‘দিনকাল’, ‘সুরুজ মিয়া’র মতো ভিন্নধারার সিনেমাও রয়েছে। তারপরও কেন আমাকে শুধু ‘ফোক ফ্যান্টাসি’ ছবির নায়িকার ট্যাগ বহন করে চলতে হবে?”
সেই জেদ থেকে
সমালোচকদের ধারণা বদলে দিতে লোককাহিনি নির্ভর ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমার প্রস্তাব
ফিরিয়েছিলেন বলে জানান রোজিনা।
মাছরাঙা টেলিভিশনে
ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’-এ সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন বলে এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রোজিনা সিনেমাটি
ফিরিয়ে দেওয়ার পর ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে অঞ্জু ঘোষকে নিয়েছিলেন পরিচালক তোজাম্মেল
হক বকুল।
বাড়ি থেকে পালিয়ে রেণু হন রোজিনা
সিনেমাটি মুক্তির
পরপরই সাড়া ফেলে দেয়। ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমা হিসেবে
এটিকে ধরা হয়। কলকাতায়ও এই সিনেমার ‘রিমেক’ হয়।
বেদের মেয়ে জোসনা
ছেড়ে দেওয়ার জন্য কোনো আফসোস নেই বলেও জানান রোজিনা।
“সিনেমাটি ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়। অবশ্য এ
নিয়ে আমার কখনো আফসোস হয়নি। প্রত্যেক সৃষ্টিরই একটি গন্তব্য থাকে। যার ভাগ্য
যেখানে নির্ধারিত, সেটিই হবে। তাছাড়া আমার ফিরিয়ে দেওয়া অনেক ছবি তো ব্যর্থও
হয়েছে। সুতরাং আফসোসের কিছু নেই।”
শুরুর দিকেই কসাই
সিনেমায় অভিনয় করে পার্শ্ব চরিত্রের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান
রোজিনা।
এরপর ‘জীবনধারা’র জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পান। প্রযোজক হিসেবেও
জীবনধারা, দোলনার মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
নব্বই দশকের প্রথম
দিকে অভিনয়ে বিরতি দিয়েছিলেন, এক যুগ পর ২০০৬ সালে ফেরেন ‘রাক্ষুসী’ সিনেমা দিয়ে।
রুম্মান রশীদ খান
ও খালেদার উপস্থাপনায়, জোবায়ের ইকবাল-এর প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’ এর ঈদের দ্বিতীয়
দিন, সকাল ৭ টা থেকে ৯টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হবে।