গত পহেলা বৈশাখে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাটির
বেশ কিছু দৃশ্য নিয়ে প্রয়াত অভিনেতার মেয়ে পৌলমী বসু ও এক আত্মীয় আপত্তি তুলেছেন বলে
জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় শ্রমণা ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, সিনেমাটিতে
এমন অনেক দৃশ্য বা তথ্য রয়েছে, যা একেবারেই ভ্রান্ত।
সিনেমাটি দেখতে গিয়ে তারা ‘মানসিকভাবে আহত’ হয়েছেন বলেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রমণা। তাকে সমর্থন করে ফেইসবুকে
লিখেছেন পৌলমী।
সৌমিত্রকন্যার ভাষ্যে, “আমি নিশ্চিত নই, কেন আমার বাবা সেই ভুল বর্ণনামূলক দৃশ্যে অভিনয় করতে
সম্মত হয়েছিলেন। এখন আমার হাত বাঁধা, কারণ বাপি ওই দৃশ্যগুলো করেছেন। কিন্তু
বাস্তব আর কল্পনা মিশ্রিত করলে যে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, বাপি তা সম্পূর্ণ রূপে
বুঝতে পেরেছিলেন কি না, তা নিয়ে আমার বেশ সন্দেহ আছে।”
পৌলমীর দাবি, যে দর্শকরা তাদের পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তারা
এই সিনেমা দেখে একটা ভুল ধারণা বানিয়ে নেবেন।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
এদিকে পৌলমীর অভিযোগের উত্তরে পরমব্রত আনন্দবাজারকে বলেছেন, “এ সিনেমার চিত্রনাট্য সম্পর্কে শুধু সৌমিত্র
চট্টোপাধ্যায় নয়, পৌলমীদিও সব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতেন। উনি নিজে সিনেমার কিছু
অংশের দৃশ্যে সাহায্যও করেছেন। তখন তার কিছু মনে হয়নি। এখন কেন মনে হচ্ছে, সত্যিই
জানি না।”
অভিনেতা পরমব্রত দাবি করেছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জীবদ্দশায় যথেষ্ট
সময় নিয়ে চিত্রনাট্যটি পড়ে, ভেবেচিন্তে তারপরেই সিনেমা করতে সম্মতি দিয়েছিলেন।
কলকাতার কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্রের বায়োপিকে তরুণ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যীশু
সেনগুপ্ত এবং প্রৌঢ় বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বয়ং সৌমিত্র।
দর্শকমহলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। তিনি সত্যজিত
রায়ের অপু আর ফেলুদা চরিত্রকে রুপালি পর্দায় অমর করে গেছেন।