রুক্ষ ও জট ধরা চুলে আগা ফাটার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এই সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি নিতে হবে চুলের যত্ন।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে
এই বিষয়ে জানানো হল বিস্তারিত।
বালিশ
ঘুমানোর সময় সিল্কের বালিশে কভার ব্যবহার করা উপকারী।
এর উপরিভাগ মসৃণ থাকে যা চুল্কে জট, আগা ফাঁটা ও ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
পরামর্শ:
এক সপ্তাহ সিল্কের স্কার্ফ বা বালিশের কাভার ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পেলে পরে সিল্কের
বালিশের কাভার তৈরি করে নেবেন।
উন্নত
শ্যাম্পু ব্যবহার
সালফেট সমৃদ্ধ শ্যাম্পু চুলের ক্ষতি করে। এটা চুলের প্রাকৃতিক
তেল নষ্ট করে। গ্লিসারিন আছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা চুলের জন্য ভালো। গ্লিসারিণ
চুল মসৃণ রাখে। শ্যাম্পু করার সময় চুল খুব বেশি ঘষলে তা ফেটে যেতে পারে। পাশাপাশি রুক্ষ
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আলতোভাবে চুল মালিশ করুন।
পরামর্শ:
শ্যাম্পুতে অনেক শক্তিশালি রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে তাই হাতের তালুতে কয়েক ফোটা
শ্যাম্পু নিয়ে তা পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
চুল
ছাটা
নিয়মিত চুল ছাটা হলে রুক্ষভাব দূর হয়। এতে আগা ফাটা ও
মলিনভাব দূর হয়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী চুল কাটতে পারেন।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
পরামর্শ:
৪৫ দিন পর পর চুল সামান্য ছেটে নেওয়া ভালো।
সঠিক
পদ্ধতিতে কন্ডিশনার ব্যবহার
খুব তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকলে চুলে কন্ডিশনার মেখে ধুয়ে
ফেলুন। ভালো কন্ডিশনার চুলে কাজ করতে দুই থেকে পাঁচ মিনিট সময় নেয়। খুব বেশি তাড়াহুড়া
করলে এটা খুব একটা কাজে দেবে না। যদি সবসময় ব্যস্ততার মধ্যে থাকা হয় তাহলে ‘লিভ ইন
কন্ডিশনার’ ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে ব্যাগে সবসময় চুলের সিরাম রাখতে পারেন। এটা কিছু
সময়ের জন্য চুল সেট রাখতে সাহায্য করে।
পরামর্শ:
রুক্ষ চুল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুল ধোয়ার পরে ‘লিভ ইন কন্ডিশনার’ ব্যবহার করুন ।
তোয়ালে
বাদ দেওয়া
চুল ভেজা অবস্থায় দুর্বল থাকে। এ সময় ভারি তোয়ালে দিয়ে
চুল শুকানো হলে গোড়া নরম হয়ে যায়। তাই ভারি তোয়ালে ব্যবহার না করে পাতলা নরম তোয়ালে
ব্যবহার করুন। অথবা পাতলা পুরাতন টি-শার্ট দিয়েও চুল মুছে নিতে পারেন। গামছা গিয়ে মোছা
সবচেয়ে ভালো।
পরামর্শ:
চুল ভেজা অবস্থায় এতে সামান্য অ্যালো ভেরা জেল দিয়ে তারপর গামছা বা টিশার্ট পেঁচিয়ে
রাখতে পারেন।
তেল
ব্যবহার
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হল তেল ব্যবহার
করা। চুলে শ্যাম্পু করার আগে নারিকেল তেল ব্যবহার করা ভালো। চাইলে এক সঙ্গে নানা রকমের
তেল- নারিকেল তেল, জলপাইয়ের তেল ও ক্যাস্টর তেল এক সঙ্গে মিশিয়ে হালাকা গরম করে ব্যবহার
করতে পারেন। চাইলে, এতে এক চামচ সরিষা ও কয়েকটা কারি পাতা যোগ করতে পারেন। তেল ঠাণ্ডা
হয়ে এলে এতে অ্যালো ভেরা জেল যোগ করে মাথায় ব্যবহার করুন। এতে চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
পদ্ধতি:
তেল ব্যবহার করে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ঢেকে রাখুন। এরপর চুল ধুয়ে
ফেলুন।
চুলের
খাবার
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, বিকালে স্বাস্থকর নাস্তা হিসেবে
শুকনা ফল এবং সকালের শুরুতে গ্রিন টি চুলের জন্য উপকারী। প্রতিদিন কয়েকটা শুকনা ফল
যেমন- আখরোট ও কাঠবাদাম খাওয়া উপকারী। এছাড়া টমেটো, তিসি, পনির ইত্যাদি খাদ্য খাবারে
অন্তর্ভুক্ত করলে চুল পুষ্টি পাবে।
পরামর্শ:
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই শুকনা ফল বা বাদাম খান।
প্রচ্ছদ ছবির মডেল: তৃষা এলিজা।
আরও
পড়ুন