জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডিত বাবুল তিলক দাস (২৯) ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী উপজেলার নয়নবাড়ীর পরেশ তিলক দাসের ছেলে।
যাবজ্জীবনের পাশপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তাছাড়া অপহরণের আরেকটি ধারায় তিলককে আরও ১৪ বছরের দণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার বরাতে রাষ্ট্রপক্ষর আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, জেলার নকলা উপজেলার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে তিলকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট কলেজে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান তিলক। পরে মেয়েটি তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে তাকে অপহরণের করে গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে বলে জানায়।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা ৬ সেপ্টেম্বর তিলককে একমাত্র আসামি করে নকলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর তিলককে গ্রেপ্তার ও অপহৃত ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এদিকে কারাবাসের পর ২০২০ সালের ১২ মার্চ জামিনে মুক্তি পেয়ে তিলক পালিয়ে যায়।
পরে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন ও তিলকের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।