নিজেদের আঙিনায় বেশ কিছুদিন ধরেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না চেলসির। চলতি মাসে তিনবার ঘরে মাঠে নেমে প্রতিবারই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। সবশেষ বুধবার রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমে আর্সেনালের বিপক্ষে ৪-২ গোলে হেরেছে তারা।
প্রথমার্ধে নাটকীয়তায় ভরা ৩২ মিনিটে মোট চারটি গোল হয়। দুইবার পিছিয়ে পড়ে সমতা টানে চেলসি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর পেরে ওঠেনি দলটি।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ হারল চেলসি। এই তিন ম্যাচে তারা গোল হজম করেছে ১১টি।
এর মধ্যে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের প্রথম লেগও, যেখানে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে টুখেলের দল হেরে যায় ৩-১ গোলে। দ্বিতীয় লেগে চেলসি ৩-২ গোলে জিতলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে চলে যায় ইউরোপের সফলতম দলটি।
তার আগে চলতি মাসের শুরুতে লিগে দুর্বল ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ১০ মিনিটে তিন গোল খেয়ে চেলসি পরাভূত হয় ৪-১ ব্যবধানে।
নিজেদের মাঠে আরেকটি হতাশাজনক পারফরম্যান্সে আর্সেনালের কাছে হারের পর টুখেল কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের মাঠের।
“কথাটা অজুহাতের মতো শোনাতে পারে, কিন্তু এখানে খেলা কঠিন। আমাদের মাঠের অবস্থা খুব, খুব খারাপ। এখানকার কন্ডিশন আমাদের পক্ষে যায়নি।”
“আন্দ্রেয়াসের (ক্রিস্টেনসেন) সামনে বলটি খুব বাজেভাবে লাফিয়ে উঠল। তবে আমরা রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লড়াইয়ের মতো এই ম্যাচেও কিছু ভুল করেছি। রিয়ালের বিপক্ষে ভুলের খেসারত দিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পরের ধাপে উঠতে পারিনি। আর আর্সেনালের কাছে হার আমাদের পরের ম্যাচে ভোগাবে। আমি মনে করতে পারছি না, সবশেষ কবে আমরা এভাবে দুই গোল হজম করেছিলাম।”
দল একই ভুল বার বার করায় ক্ষুদ্ধ টুখেল। শিষ্যদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাগিদ ৪৮ বছর বয়সী কোচের কন্ঠে।
“প্রথমার্ধের লড়াই ছিল পাগলাটে ও উন্মুক্ত– পিছিয়ে থেকে আমরা দুই বার সমতা টানার পর স্কোরলাইন ছিল ২-২। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল, কিন্তু আবারও আমরা নিজেদের ভুলে প্রথম গোল হজম করি আর বার বার এমন কিছু হওয়াটা তো অসম্ভব। কিন্তু আমরা তাই করছি।”
“নিজেদের মাঠে একের পর এক ম্যাচে আমরা যেভাবে ভুল করেছি, এই স্তরে তা অসম্ভব। এমনটা দেখা যায় না। এটা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা তাই করছি এবং এভাবে ফুটবল ম্যাচ জেতা যায় না।”
এই হারের পর শীর্ষ চারের লড়াইয়ে অবশ্য ভালোভাবেই আছে চেলসি। ৩১ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৮ ড্রয়ে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বর স্থানে আছে দলটি।
৩২টি করে ম্যাচ খেলা টটেনহ্যাম হটস্পার ও আর্সেনালের পয়েন্ট সমান ৫৭। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পাঁচে আছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল।
৩২ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি।