৮৩ পাতার ‘ইন্টারনেট স্ল্যাং’ গাইড বানিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। মার্কিন সাময়িকী ‘ইনপুট’ জানাচ্ছে, ইন্টারনেট আর্কাইভে গিয়ে যে কেউ পড়ে দেখতে পারবেন এফবিআইয়ের সেই গাইড’।
অন্যদিকে, প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার বলছে, এফবিআইয়ের ওই ‘ইন্টারনেট স্ল্যাং গাইড’ আদলে নতুন কিছু নয়, বলা চলে, বেশ পুরনো এটি। ২০১৪ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘মাকরক’ এর আবদনে ‘ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন অ্যাক্ট’-এর অধীনে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল গাইডটি।
টেকরোডার জানিয়েছে, রাজনীতিতে আরও স্বচ্ছতা আনা এবং যেখানে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই মাকরকের মূল লক্ষ্য।
‘স্ল্যাং’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ সাধারণত ‘গালিগালাজ’ ভাবা হলেও বন্ধুদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যবহৃত ‘অপশব্দ’গুলোও অভিধানে ‘স্ল্যাং’ হিসেবেই বিবেচিত। আর এফবিআইয়ের গাইডে আছে এমন ‘স্ল্যাং’-এর দুই হাজার আটশটি এন্ট্রি। তবে এর বেশিরভাগই আসলে শব্দসংক্ষেপ অথবা ‘টুইটার শর্টহ্যান্ড’।
অনলাইনে বহুল ব্যবহৃত ‘<3’ বা হার্ট সাইনের প্রতীকও গাইডে উঠিয়ে রেখেছে এফবিআই। এমনকি ‘লাফ আউট লাউড (LOL)’ এবং ‘বি রাইট ব্যাক (BRB)’র মতো পরিচিত সংক্ষিপ্তরূপও আছে গাইডে।
এ ছাড়াও, ‘অলওয়েস লুক অন দ্য ব্রাইট সাইড অফ লাইফ (ALOTBSOL)’, ‘ব্লো ইট আউট ইয়োর আই/ও পোর্ট (BIOYIOP)’, ‘ডোন্ট বদার মি নেক্সট টাইম (DENT), ‘জিই, আই উইশ আই’ড সে দ্যাট (GIWIS)’-এর মতো অপরিচিত আরও কিছু এন্ট্রি রয়েছে গাইডটিতে। তবে এই সংক্ষিপ্তরূপগুলো আদৌ কোথাও কেউ ব্যবহার করেছেন কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে টেকরেডার।
সাইটটি আরও জানিয়েছে, এফবিআইয়ের গাইডটি ইন্টারনেট আর্কাইভে থাকলেও, দেখতে এটি বেশ নিম্নমানের এবং পড়তে চাইলে অনেকটা জুম ইন করতে হবে পাঠককে।
এফবিআই ইন্টারনেট স্ল্যাং গাইড জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছিল ২০১৪ সালে। সে সময়ে প্রকাশিত ভার্জের একটি প্রতিবেদন বলছে, স্ল্যাং গাইডের এন্ট্রিগুলো সংগ্রহ ও সমন্বয়ের কাজটি করেছিল তদন্তকারী সংস্থাটির ‘ইন্টেলিজেন্স রিসার্চ সাপোর্ট ইউনিট’।
সে সময়, সন্তান ও নাতি-নাতনিদের উপর ‘নজর’ রাখতেই গাইডটি প্রয়োজনীয় বলে আখ্যা দিয়েছিল সংস্থাটি।
এর পর এর আকার আরও বড় হয়েছে বলে ধারণা করছে টেকরেডার। দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার যেহেতু আরও বেড়েছে, এফবিআইয়ের ‘ইন্টারনেট স্ল্যাং গাইড’-এর আকার আরও বড় হওয়াটাই তাই স্বাভাবিক বলেই মন্তব্য করেছে সাইটটি।
এফবিআইয়ের ‘তদন্তকারীরা’ আরও নতুন কোন কোন স্ল্যাং আবিষ্কার করেছেন, জানতে পারলে খারাপ হতো না বলে মন্তব্য করেছে সাইটটি।