ক্যাটাগরি

রেজা-নুরের গণঅধিকার পরিষদে সাবেক ৮ সেনা কর্মকর্তা

বৃহস্পতিবার ঢাকার স্কাই সিটি গ্র্যান্ড হোটলে এই ইফতার অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের পাশাপাশি বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও ছিলেন।

গণঅধিকার পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এদিন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, অধ্যাপক, বিচারক মিলিয়ে ২০ জনের যোগদানের খবর জানানো হয়।

এদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর বদরুল আলম সিদ্দিকী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মালেক ফরাজি, অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার আলী মাহমুদ খান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবদুল বাসেত, ব্যবসায়ী মো. শাহজান বাদশাহ, অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ শামসুল আলমের নাম উল্লেখ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল করিম ভূইয়া, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিঙ্কন, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কবি ও লেখক ফরহাদ মজহার, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমসা আমিনও এই ইফতার অনুষ্ঠানে ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রেজা কিবরিয়া বলেন, “দেশের অনেক দলের শীর্ষ নেতারা গণঅধিকার পরিষদের আজকের এ প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়েছেন। আমরা সবাই মিলে যদি একসাথে কাজ করি, তাহলে এই দেশকে অন্ধকার থেকে উদ্ধার করতে পারব, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব।”

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, “দেশ এখন একটা গভীর সঙ্কটে। এ থেকে উত্তরণে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ সরকার হটানোর আন্দোলনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “এখনে সকলে ঐকমত্য পোষণ করেছে যে এই দেশের জনগণ এই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারকে আর দেখতে চায় না। সকল বিরোধী দলের ঐক্য ছাড়া এই সরকারকে হটানো সম্ভব হবে না। সেই লক্ষ্যে আসুন আমরা কাজ করি।”

‘গুম-খুন এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত’

বাংলাদেশের গুম-খুন এখন আন্তর্জাতিকভাবে ‘স্বীকৃতি’ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

বৃহস্পতিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বাংলাদেশের লেবার পার্টির এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মঈন খান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস শীর্ষক রিপোর্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা, বিচার ব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

“এই সরকারের মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন, সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতনের যে সকল অভিযোগ উঠেছে, তা এই রিপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিও পেয়েছে।”

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ফারুক রহমানের সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির মির্জা আব্বাস, শাহজাহান ওমর, তাবিথ আউয়াল, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির আবু তাহের, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম উপস্থিত ছিলেন।