ক্যাটাগরি

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ: মোরসালিন হত্যা মামলায় আসামি ১৫০

বৃহস্পতিবার রাতে মোরসালিনের বড় ভাই নুর মোহাম্মদের দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে নিউ মার্কেট জোনের পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শাহেনশাহ জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, নাহিদ মিয়া হত্যা মামলার মত এ মামলাটিও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে তদন্তের জন্য। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

গত সোমবার রাতে দুই দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেটের দোকান মালিক কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ গড়ায়। মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সারাদিন সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন, তাদের মধ্যে দুজন পরে মারা যান।

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ: মোরসালিনকেও বাঁচানো গেল না

‘আমার বাবারে ইট দিয়া বাইড়াইয়া মারল!’
 

সংঘর্ষের সময় আহতদের মধ্যে নাহিদ মিয়া নামে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।

নাহিদ এলিফ্যান্ট রোডের ডাটা টেক কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। তার চাচা মো. সাঈদ বুধবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আর ২৬ বছর বয়সী মোরসালিন নিউ সুপার মার্কেটের একটি তৈরি পোশাকের দোকানে কাজ করতেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নুরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

মোরসালিনের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে, বাবার নাম মো. মানিক মিয়া। ঢাকায় মোরসালিন থাকতেন কামরাঙ্গীর চরের পশ্চিম রসুলপুর এলাকায়।৭ ও ৪ বছর বয়সী দুটি ছেলেমেয়ে রয়েছে তার।

নিউ মার্কেট সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকেও দুটি মামলা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চার মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারের বেশি।

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ: তিন মামলায় আসামি সহস্রাধিক

নিউ মার্কেটে সংঘাত: যে দুই দোকান থেকে সূত্রপাত, তার মালিক মকবুল প্রধান আসামি
 

বিস্ফোরক আইনে পুলিশের দায়ের করা এক মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরেক মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে নিউ মার্কেটের অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবসায়ী ও কর্মী এবং ৬০০-৭০০ কলেজ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে। যে দোকান দুটির কর্মচারীদের রেষারেষি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল, সেই দোকান দুটির মালিক তিনি।