বেহাল দশায় থাকা দলের নাম উঠে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক প্রাপ্তিতে। টুর্নামেন্টের সফলতম দল গড়েছে আইপিএলে সবচেয়ে বাজে শুরুর রেকর্ড।
এবারের আইপিএলে নিজেদের প্রথম সাত ম্যাচেই হেরেছে মুম্বাই। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে কোনো আসরেই এতটা বাজে শুরু হয়নি কোনো দলের।
প্রথম ৬ ম্যাচ হেরে আগের রেকর্ড যৌথভাবে ছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের। ২০১৩ আসরে ৬ ম্যাচ হেরে শুরু করেছিল দিল্লি, ২০১৯ আসরে বেঙ্গালোর।
এবার রেকর্ডটি ছোঁয়ার পর এককভাবে করা থেকে রক্ষা পাওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মুম্বাই। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার জয় দেখতে শুরু করেছিল তারা। কিন্তু শেষ ৪ বলে ১৬ রানের সমীকরণ মিলিয়ে তাদের মুঠো থেকে জয় বের করে নেন চেন্নাইয়ের অভিজ্ঞ সেনানী মহেন্দ্র সিং ধোনি।
মুম্বাইয়ের এই দুরাবস্থা আরও বেশি করে চোখে পড়ছে অধিনায়ক রোহিত শর্মার বাজে ফর্মে। আইপিএলের সফলতম অধিনায়ক তিনি। টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। কিন্তু এবার দল যেমন জয়ের নাম মুখেই আনতে পারছে না, রোহিত তেমনি বড় রানের দেখাই পাচ্ছেন না।
৪১ রানের ইনিংস খেলে রোহিত শুরু করেছিলেন এবারের আসর। পরের ৬ ম্যাচে একবারও ছুঁতে পারেননি ৩০ রান। সবশেষ চেন্নাইয়ের বিপক্ষে আউট হন শূন্য রানে।
সোয়া ১৫ কোটি রূপিতে যাকে কিনেছে তারা, সেই ইশান কিষান প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটির পর আছেন ব্যর্থতার চক্রে। সবশেষ ৫ ম্যাচে তিনিও ছুঁতে পারেননি ৩০। দলের অনেক লড়াইয়ের অভিজ্ঞ সৈনিক কাইরন পোলার্ডের অবস্থাও যাচ্ছেতাই। বোলিংয়ের অবস্থাও করুণ তাদের। সবচেয়ে বড় ভরসা জাসপ্রিত বুমরাহ এখনও পর্যন্ত বিবর্ণ।
সব মিলিয়ে দল আর নিজের ব্যর্থতায় একরকম ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা রোহিতের।
আগের ম্যাচের পর নিজের ব্যাটিং নিয়ে অনেকটা অসহায় শোনা গিয়েছিল রোহিতর কণ্ঠ।
“যদি আমি জানতাম যে কোথায় ভুল হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই ঠিক করতাম। কারণ বরাবরই যা করি, সেটিই করে আসছি। নিজের প্রক্রিয়া ধরে রাখছি আমি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।”
“তবে দায় আমাকে নিতেই হবে। চেষ্টা করব আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর এবং দল হিসেবেও ঘুরে দাঁড়ানোর।”
চেষ্টা তারা করেছেন বটে। চেন্নাইকে বাগেও পেয়েছেন, তবে কাজে লাগাত পারেননি সুযোগ। ম্যাচও তাই ফসকে গেছে। টুর্নামেন্টে ১২৫টি জয়ের স্বাদ পাওয়া দল এখন কাতর অপেক্ষায় একটি জয়ের জন্য!