ক্যাটাগরি

দুই কোরিয়ার চিঠি বিনিময়, দক্ষিণের নেতার বিরল প্রশংসায় কিম

কয়েকদিন পরই ক্ষমতার পালাবদল হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন রক্ষণশীল ইয়ন সুক ইয়ল, যিনি এরই মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

ক্ষমতায় এই পরিবর্তনের আগে দিয়ে প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের উষ্ণ ভাষার এই বিদায়ী চিঠি বিনিময় হল। মূলত মুনের পাঠানো চিঠিরইজবাব দিয়েছেন কিম।

মুন গত বুধবারই কিমকে চিঠি পাঠান বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় কেসিএনএ বার্তা সংস্থা। ওদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ও দুই নেতার মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ চিঠি’ চালাচালির কথা নিশ্চিত করে জানায়।

চিঠিতে মুন আগামী দিনগুলোতেও দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরদিনই মুনকে ফিরতি চিঠি দেন কিম। তাতে মুনের প্রশংসা করে তার ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত জাতির মহান স্বার্থে কাজ করার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান কিম।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা কেসিএনএন বলেছে, “দু’দেশের দুই শীর্ষ নেতার এই ব্যক্তিগত চিঠি বিনিময় পরস্পরের প্রতি তাদের গভীর আস্থাই বহিঃপ্রকাশ।”

ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনের মুখপাত্র এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, চিঠিতে মুন বলেছেন, সংলাপের মধ্য দিয়ে সংঘাতের যুগ শেষ হওয়া উচিত। আন্তঃকোরীয় আলোচনাই এখন নতুন প্রশাসনের কাজ।

এর উত্তরে কিম জং–উন বলেন, মুনের সঙ্গে তার ঐতিহাসিক সম্মেলনগুলো দুই দেশের মানুষকে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী করেছে। দুই কোরিয়া অবিরাম চেষ্টা চালালে সম্পর্কোন্নয়ন হবে- এ বিষয়ে তারা দু’জনই একমত।

দুই কোরিয়ার মধ্যে ঊষ্ণতা এবং মঙ্গলকামনার এ এক বিরল পদক্ষেপ হলেও বিশ্লেষকরা সংশয় প্রকাশ করে বলছেন, দুপক্ষের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে এ পদক্ষেপ যথেষ্ট নাও হতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার বার্তা যে দুই কোরিয়ার সম্পর্কে আরও বড় পরিসরে উন্নয়নের ইঙ্গিত তা মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।

বরং সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মুনের যে প্রশংসা উত্তরের নেতা কিম জং-উন করেছেন, তার মধ্য দিয়ে তিনি হয়ত মুনের উত্তরসূরি ইয়ুন সুক-ইয়লকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের অবনতির জন্য দায়ী হিসাবে চিত্রিত করে রাখারই প্রয়াস নিয়েছেন।