রাশিয়ার আগ্রাসন প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ার কারণে ইউক্রেইনে যুদ্ধ সহসাই শেষ হবে না বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন তিনি।
দুইদিনের জন্য ভারত সফরে আছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জনসন। বিবিসি জানায়, দিল্লিতে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার বোমাবর্ষণ ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত চলতে পারে- প্রতিরক্ষা গোয়েন্দাদের এই মূল্যায়নের সঙ্গে একমত কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জনসন বলেন, “বাস্তবিক অর্থেই এমন সম্ভাবনা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিশাল সেনাবাহিনী আছে। তার রাজনৈতিক অবস্থানও জটিল, কারণ তিনি আগ্রাসনের নির্দেশ দিয়ে সর্বনাশা ভুল করেছেন।”
“তার (পুতিন) হাতে এখন একটিই উপায়। আর তা হচ্ছে, ইউক্রেইনের নাগরিকদের পিষে ফেলতে গোলাবারুদ নিয়ে তার ভয়াবহ, ধ্বংসাত্মক লক্ষ্যে অগ্রসর হতে থাকা।”
তবে “আগামী কয়েক মাসে ভ্লাদিমির পুতিন তার সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব যতই দেখাতে সক্ষম হন না কেন, তা ‘কোনও ব্যাপার নয়। তিনি ইউক্রেইনের জনগণের চেতনাকে জয় করতে পারবেন না,” বলেন জনসন।
ইউক্রেইনের জনগণের প্রতিরোধ শক্তিকে সম্মান জানিয়ে জনসন দেশটির সরকার এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যুদ্ধ অবসানে বাস্তবসম্মত কোনও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইউরোপ এবং ইউক্রেইনের নিজস্বভাবে আলোচনা হওয়া দরকার।
ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে আগামী সপ্তাহেই আবার ব্রিটিশ দূতাবাস চালুর ঘোষণাও দিল্লির সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন জনসন। ইউক্রেইনের প্রতিরোধ যুদ্ধে সফলতার কথা উল্লেখ করে তিনি খুব শিগগিরই কিইভে ফের দূতাবাস খোলা হবে বলে জানান।